ASANSOL

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে বিদ্যুতহীন গ্রামে জ্বলে উঠলো আলো! বিজেপি বিধায়ক নাকি তৃণমূলের কাউন্সিলর? কৃতিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর বিদ্যুতের আলো জ্বলতেই গ্রামবাসীরা নেচে উঠলেন ” খেলা হবে গানে” র মধ্যে দিয়ে । সোমবার দৃশ্যতই অন্যরকম ভাবে দেখা গেল আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার নামো জামডোবা গ্রামকে। বিদ্যুৎহীন নামো জামডোবা গ্রামে রবিবার গেছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সেই সময় গ্রামে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে তাকে। তিনি যখন গ্রামে আসেন তখন দেখা যায় বিদ্যুতের খুঁটিতে তার টানা হয়ে গেছে।
সোমবার সেই গ্রামে বিদ্যুতের আলো জ্বলে উঠল। ট্রায়াল হিসাবে এদিন ইলেকট্রিক চার্জ করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা ধামসা মাদল নিয়ে আনন্দে নেচে ওঠেন।


বিদ্যুৎহীন নামো জামডোবা গ্রামের অন্ধকার দশা অনেকেরই জানা। শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার জামডোবা গ্রামে এলো জ্বলে উঠল। আলোহীন আসানসোলের জামডোবা গ্রামের বাসিন্দারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। জানা গেছে, এই গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও কিন্তু কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। সোমবার সকালে আলো জ্বলে ওঠার পর বাসিন্দা সীমা কিস্কু বলেন জন্ম থেকে আলো দেখিনি। এই প্রথম দেখলাম। খুব ভালো লাগছে। আর পড়াশোনা করতে অসুবিধা হবে না । গ্রামবাসীরাও বলেন, আমাদের অন্ধকারের এতদিনে কাটলো।


তবে গ্রামকে আলোকিত করার কাজে বিজেপি ও নিজেদের উদ্যোগকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
অন্যদিকে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তীও দাবি করেছেন গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে তারই উদ্যোগে। তাতে সহযোগিতা করেছেন প্রাক্তন বিধায়কও। গ্রামের মানুষকে দেখা গেল সেই কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়েই আনন্দে আত্মহারা হতে।
তবে কৃতিত্ব যারই থাক না কেন? রাজনৈতিক তরজা যাই হোক না কেন, অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরলো জামডোবা। তাতেই খুশিতে আনন্দে মাতলেন গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply