বিদ্রোহী কবির জন্মস্থান পরিদর্শনে জেলাশাসক ও উপাচার্য, পর্যটক টানতে সাজানো হবে চুরুলিয়া
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই দ্রুত পদক্ষেপ, জেলাশাসক বলেন গোটা বিষয়টি আমরা পাঠাবো পর্যটন দপ্তরে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই দ্রুত পদক্ষেপ। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এসনঅরুণ প্রসাদ ও আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: সাধন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মস্থান আসানসোলের জামুরিয়ার চুরুলিয়া আসেন। তারা গ্রাম পরিদর্শন করার পাশাপাশি , কবির পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তাদের কাছ থেকে তারা কবির জন্মভিটের তথ্য নেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220708-WA0010.jpg?resize=500%2C230&ssl=1)
প্রসঙ্গতঃ আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী সম্প্রতি দুর্গাপুরের সৃজনী হলে হওয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছিলেন বিদ্রোহী কবির জন্মস্থানকে ” হেরিটেজ ” হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং পর্যটন বিভাগের এর আওতায় আনার জন্য। উপাচার্যের অনুরোধ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকেই অবিলম্বে রাজ্যের পর্যটন দফতরের মুখ্য সচিব সৌমিত্র মোহনকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই সৌমিত্র মোহন উপাচার্যকে একটি বার্তা পাঠিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রস্তাব চান।
এদিন পরিদর্শনের পরে উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই চুরুলিয়ায় নজরুল একাডেমি অধিগ্রহণ করেছে । কাজি নজরুলের সংগীত নিয়ে চুরুলিয়ায় একটি সঙ্গীত কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। চুরুলিয়াকে পর্যটন মানচিত্রে স্থান দিতে পারলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটক ও গবেষকরা এই জন্মস্থানে আসতে পারবেন। তারাও তাদের মতো করে কবিকে নিয়ে গবেষণা ও চর্চা করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, এখানে যে মেলা প্রাঙ্গন আছে, সেখানে একটা স্থায়ী কাঠামো করা হবে। এছাড়াও একটা ওপেন এয়ার থিয়েটার, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, যুব আবাস ও পুকুর সংস্কার থেকে কবির স্মৃতিবিজরিত সবকিছুকে নতুন করে করা হবে।
কবি সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির কথা বলতেন। আমরা পর্যটন দপ্তরের মাধ্যমে এই জায়গাকে এমন ভাবে সাজাতে চাই, যাতে যে পর্যটকরা এখানে আসবেন, তারা যেন কবির সেই ভাবনার অনুভূতি নিয়ে ফিরে যেতে পারেন।
জেলাশাসক বলেন, এদিন আমরা এই জায়গা ঘুরে দেখে সবার সঙ্গে কথা বলে, কি কি করা যেতে পারে তার একটা তথ্য নিলাম। গোটা বিষয়টি এরপর আমরা পাঠাবো পর্যটন দপ্তরে। তারা যা বলবে, তা করা হবে।