পাণ্ডবেশ্বরের ১৩ জন তৃণমূল কর্মীর অভিনব পদযাত্রা, ধর্মতলায় শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ২২০ কিলোমিটার পদযাত্রা
বেঙ্গল মিরর, পাণ্ডবেশ্বর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এবার পায়ে হেঁটে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিল পাণ্ডবেশ্বরের ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকোলা বিধায়ক কার্যালয় থেকে এই পদযাত্রাটি বের হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং দিল্লির মসনদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বসানোর লক্ষ্যে এবং শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো লক্ষ্যে পদযাত্রাটি করা হয়। পদযাত্রা শুরু করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220716-WA0107.jpg?resize=500%2C297&ssl=1)
১৯৯৩ সালের একুশে জুলাই সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে এবং রিগিং এর অভিযোগ তুলে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৩ জন কংগ্রেস কর্মীর। কংগ্রেস যুব নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হয়েছিল সেই বিক্ষোভ। তারপর থেকেই একুশে জুলাই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রধান বক্তা হিসেবে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’বছর ধরে করোনা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ ছিল কলকাতায় শহীদ দিবসের জনসভা। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতেই এই বছর হতে চলেছে জনসভা। পাণ্ডবেশ্বরের এই পদযাত্রা দিশা দেখাবে দেশবাসীকে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ” কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১০০ দিনের কাজের মজুরি, রাষ্ট্রায়ত্তর কারখানা বিলগ্নীকরণের প্রতিবাদ সহ একাধিক দাবিও রাখা হবে পদযাত্রার মাধ্যমে। ১৩ জন শহীদের উদ্দেশ্যে এই ১৩ জন তৃণমূলকর্মী এই পদযাত্রা বিফলে যাবে না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ২০২৪ একটাই ডাক আর সেটি হলো মমতা ব্যানার্জি।”