ASANSOL

কয়লা পাচারকাণ্ডে ওপেন ডেটেড ওয়ারেন্ট ইস্যু নিয়ে আজ নজর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। কয়লাপাচারকাণ্ডে যুক্ত অন্যতম আসামি অনুপ মাঝি ওরফে লালা, বিনয় মিশ্র, রত্নেশ্বর ভার্মা ও অমিত সিং সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর সিবিআই এর পক্ষ থেকে শনিবার আসানসোলের সিবিআই এর বিশেষ আদালতে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। একই সঙ্গে লালা বা অনুপ মাঝি বাদে বাকি চারজনের জন্য ওপেন ডেটেড ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কাছে সিবিআই এর পক্ষ থেকে তাদের আইনজীবী রাকেশ কুমার আবেদন জানান।
আশা করা যায় সোমবার বিচারক এই বিষয়ে তার নির্দেশ দেবেন।

गौ तस्करी CBI चार्जशीट


সিবিআই সূত্র থেকে বলা হয়েছে কয়লা কাণ্ডে অনুপ মাঝি বাদে বিনয় মিশ্র , রত্নেশ্বর ভার্মা ও অমিত সিংসহ বাকি চারজনকে বারবার নোটিশ দেয়া হলেও তারা আদালতে হাজির হননি। তারপর তাদের সমন পাঠানো হয় এবং এরপর হুলিয়াও জারি করে আদালত। কিন্তু তাতেও তারা সাড়া না দেওয়ায় তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং সর্বোপরি যে কোন দিন যে কোন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য জামিন অযোগ্য সময় বিহীন সমন ইস্যু করার আবেদন জানানো হয় শনিবার সি বি আই বিশেষ আদালতে। এরপরেও যদি তাদের খুঁজে না পাওয়া যায় বা গ্রেফতার না হয় সে ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। অনুপ মাঝির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচেই আছেন। তাই তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করলেও তাকে ওপেন ডেটেড ওয়ারেন্ট বা সমন ইস্যু করার আবেদনের তালিকায় রাখা হয়নি।


সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে এই পাঁচজনের সম্পত্তির পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। যা বাজেয়াপ্ত করার পর আদালতকে জানানো হয়।
২০২০ সালে সিবিআই ২৭ শে নভেম্বর কয়লা পাচারকাণ্ডে নেমে যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতে অনুপ মাঝির নাম ছিল ।সঙ্গে ইসিএলের একাধিক জেনারেল ম্যানেজার সহ পাঁচজনের নাম ছিল। পরের দিনই ২৮শে নভেম্বর সিবিআই সারাদেশের একসাথে ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। ও নথি এবং প্রচুর সম্পত্তির হদিস পায়। এরপর গত দু বছরে সিবিআই ইসিলের আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন কয়লা মাফিয়ার বাড়িতে এবং দপ্তরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই এর দাবি এই মামলায় প্রভাবশালীদেরও যোগ সাজস থাকায় তারা ইতিমধ্যেই একাধিক রাজনৈতিক নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বিনয় মিশ্র গ্রেপ্তার না হলেও তার ভাই বিকাশ মিশ্র এখন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছে।

আসানসোল পুরুলিয়ার চার কুখ্যাত কয়লা ব্যবসায়ীও কয়লাকাণ্ডে এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর কিছুদিন আগেই তারা জামিন পেয়েছেন। এই মামলার সাথে যুক্ত এবং লালাঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্র রত্নেশ্বর ভারমারা সিবিআই এর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এবার একই সঙ্গে দেশের যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো দিন গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারির আবেদন এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আবেদন শনিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাওয়াই চাঞ্চল্য ছড়ালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *