ASANSOL

কয়লা কান্ড সিআইডির বিরোধিতা, এক ধৃতর জামিন নাকচ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রাজ্য পুলিশের সিআইডি কয়লাকাণ্ডে মির দিলওয়ার হকের জামিনের বিরোধিতা করায় শুক্রবার আসানসোল আদালতে তার জামিন নাকচ হয়ে গেল। এই মামলায় যে পাঁচজনকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল তার মধ্যে মির দিলওয়ার হক আছে। আসানসোলের জামুরিয়া থানার হিজলগড়ার আদিবাসী এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সহ মির দিলওয়ার হককে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। সেখান থেকে একটি অবৈধ ডিপোতে থাকা ৭০ টন মত কয়লা উদ্ধার করা হয়েছিল।


এই ঘটনার পরে জামুরিয়া পুলিশ সেই এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেয়। তাতে ঐ বাড়ির গ্যারাজে থাকা একটি গাড়ি থেকে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তবে যার বাড়ি সেই জয়ন্ত মন্ডলকে এখনো পুলিশ বা সিআইডি ধরতে পারেনি ।শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া মির দিলওয়ার হককে জামিনে ছাড়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী শেখর কুন্ডু । অন্যদিকে, কলকাতার ভবানী ভবনের সিআইডির হয়ে পাল্টা সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী মনোজ প্রসাদ। তিনি বলেন, মোবাইলের সূত্র ও জিপিআরএস দিয়ে হিজল গড়ার থেকে সেই সময় কিভাবে মির দিলওয়ারকে ধরা হয়েছিল তার তথ্য সহ কথা উল্লেখ করেন। দেখা যায় আশপাশে ইসিএলের কোন খনি না থাকলেও সেখানে কিন্তু কয়লা মজুদ করা ছিল।

একই সঙ্গে ওই এলাকায় ড্রোন নামিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইসিএলের ২৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে থাকা জামুরিয়া সেন্ট্রাল কোরিয়ারি থেকে অবৈধভাবে কয়লা চুরি হচ্ছে। সেই ছবিও তারা উল্লেখ করেন। এছাড়াও একদিন আগেই তারা কয়লা কাণ্ডে যুক্ত মির সাইদুলকে গ্রেফতারের পরে জানতে পারেন মির দিলওয়ার তার আত্মীয়। এই মির সাইদুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলা আছে। এই দুজন সহ মোট পাঁচজনকে সিআইডি কয়লা কাণ্ডে ধরেছে। স্বাভাবিকভাবেই মির দিলওয়ারকে যেন জামিন না দেওয়া হয় বলে সরকারি আইনজীবী এদিন এজলাসে সওয়াল করেন। যদিও মির দিলওয়ারের আইনজীবী শেখর কুন্ডু বলেন তার কাছ থেকে টাকা পাওয়া গেছে এটা সত্যি তাকে জামিন দেওয়া হোক। বিচারক দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শেষে তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

Leave a Reply