জামিন নাকচ সায়গল হোসেনের, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Cattle Smuggling Case ) আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল সায়গল হোসেনের। আগামী ৫ আগস্ট ফের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে। এদিন শুনানির শুরুতেই দেখা যায় আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী যেমন উপস্থিত ছিলেন না। তেমন তদন্তকারী অফিসারও ছিলেন না এবং কেস ডায়েরিও জমা পড়েনি। এই বিষয়ে সাইগলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আইনজীবী কোন কাজে ব্যস্ত থাকতেই পারেন। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার ও কেস ডাইরি এখানে থাকা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন গত তিনদিনে এই মামলার নতুন করে কোনও কিছু তদন্তে পাওয়া যায়নি।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/07/IMG-20220722-WA0001-e1658489680356-500x375.jpg?resize=500%2C375&ssl=1)
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন গত তিনদিন আগে তারা এই মামলায় সাইগলের যে ফ্ল্যাট ও ব্যাংকের ড্রাফট সদ্য পেয়েছে বলে দেখিয়েছিল তা ঠিক নয়। প্রমাণ হিসেবে তিনি গত ৫ জুলাইয়ের তথ্য দিয়ে দেখান এই ব্যাংক ড্রাফট এবং ফ্ল্যাটটি তখনও অন্য মোড়কে দেখানো হয়েছিল অর্থাৎ কুমির ছানার মত একই জিনিস বারবার দেখানো হচ্ছে। এইভাবে জামিন আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিচারক এই বক্তব্য শোনার পর মোবাইল ফোনে সরকারি আইনজীবী রাকেশ কুমারকে ধরেন। সাইগলের আইনজীবীর অভিযোগ সম্পর্কে সিবিআইয়ের মতামত জানতে চান।
উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন গত তিনদিন ধরে নতুন কিছু তদন্তে উঠে না এলেও যেহেতু প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি পাওয়া গেছে তাই জামিন আবেদনের বিরোধিতা করছি। এরপরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করেন ও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর আগে সায়গল হোসেনের জামিনের শুনানি হয়েছিলো ১৯ জুলাই। এখনো পর্যন্ত সায়গল হোসেনের জেল হেফাজতে থাকার মেয়াদ ৪০ দিনের বেশি হয়ে গেছে।