West Bengal

পার্ক স্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: পার্ক স্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। সিআইএসএফ জওয়ানদের ক্যাম্পে গুলি চলে। প্রাথমিক খবর, এক সিআইএসএফ কনস্টেবল একে-৪৭ রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। যিনি গুলি চালান তিনি হেড কনস্টেবল হিসেবে অন ডিউটি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার নাম এসকে মিশ্র বলে জানা গিয়েছে। নিহত হন সিআইএসএফ-এর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট হিসেবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। মৃত জওয়ানের নাম রঞ্জিত সারেঙ্গী বলে জানা গিয়েছে। আহত জওয়ানের নাম সুবীর ঘোষ বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। তবে ঠিক কত রাউন্ড গুলি চলেছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। অত্যন্ত ব্যস্ত পার্ক স্ট্রিটের ওই এলাকায় একদিকে রয়েছে কিড স্ট্রীটে এমএলএ হোস্টেল। বস্তুত কিছুদিন আগে এজেসি বোস রোডে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে এক জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু হয় ১ জনের। জাদুঘরের পেছনেই সিআইএসএফ ব্যারাক। ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত অন্যজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ডিসি সেন্ট্রাল এর নেতৃত্বে পৌঁছয় কলকাতা পুলিসের কমান্ডো ফোর্স এবং অ্যাম্বুল্যান্স।

প্রায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের অপারেশনের পর ওই সিআইএসএফ-র যে কনস্টেবল গুলি চালান তাঁকে নিরস্ত্র করা হয় এবং আটক করে । গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সিআইএসএফ এর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ফোর্স, কমান্ডো ফোর্স । আসেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, জয়েন্ট সিপি মুরলিধর শর্মা ছাড়াও পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় সেখানে। এর পরেই বিশাল কম্য়ান্ডো বাহিনী ঢোকে জাদুঘরের ভিতরে। নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুল্যান্সও।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যারাকের ভিতরেই ছিলেন হামলাকারী। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কারণ, হামলার সময় ব্যারাকে শতাধিক জওয়ান ছিলেন। পুলিশ সূত্র জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল যাতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সেই চেষ্টাই করা হয় প্রথম থেকে। শেষমেশ দেড় ঘণ্টা পর ওই হামলাকারী জওয়ানকে আটক করা হয়।
তদন্ত শুরু হয়েছে। বস্তুত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। তবে ওই জওয়ানকে আটক করার পর স্বস্তি ফেরে পথ চলতি এবং ওই অঞ্চলের বসবাসরত মানুষের মধ্যে। খবর লেখার সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওই এলাকায়।
এদিকে এসএসকেএম – এ যেখানে সিআইএসএফ এর আহত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন সেই এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply