ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু, চিন্তা বাড়াচ্ছে আসানসোল পুরনিগম এলাকা

সামাল দিতে পদক্ষেপ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু। চলতি আগষ্ট মাস জেলায় আক্রান্তর সংখ্যা ৬৬। তবে মৃত্যুর ঘটনা নেই। রাজ্যের মধ্যে কলকাতা জেলা সহ ৫ টি জেলার ডেঙ্গুর প্রকোপ এই বছর সবচেয়ে বেশি। এই ৫ জেলার মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলা রয়েছে।
আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যার নিরিখে এই জেলার আসানসোল পুরনিগম এলাকা বাড়াচ্ছে চিন্তা। যে কারণে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গু মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষকে সতর্ক করে কি করতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। পুরনিগমের স্বাস্থ্য কর্মীদের ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ করতে ও এই রোগ যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় তারজন্য কি ভাবে এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রশিক্ষণ দিতে হবে, তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো একবার তাদেরকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।


চলতি বছরের সাত মাস পার হয়ে আট মাস পড়েছে। এই আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর , পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কেউ মারা যায় নি। এই জেলায় শুধু মাত্র আসানসোল পুরনিগম এলাকায় এখনো পর্যন্ত এই বছরে ৪৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। দূর্গাপুর পুর এলাকায় সেই সংখ্যাটা মাত্র ৩। বাকি আক্রান্তদের খোঁজ মিলেছে জেলার ব্লক এলাকার। ব্লকের কোথাও ২ জন, কোথাও ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান জানান।


দুদিন আগে গত শুক্রবার ডেঙ্গু মোকাবিলায় কি করণীয় তা বলতে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও সিএমওএইচদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সিএমওএইচ ছাড়াও ছিলেন আসানসোল ও দূর্গাপুর পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক, আসানসোল জেলা, দূর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, সব ব্লকের বিডিও ও বিএমওএইচ, রেল এবং সেলের আধিকারিকরা।


সিএমওএইচ বলেন, মুলতঃ বিভিন্ন জায়গায় জমা জল থেকেই এই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। একটা এলাকায় একসঙ্গে অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এমনটা নয়। অনেক এলাকায় এক বা দুজন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক বাড়িতে টব, খালি পাত্র, দোকানে দোকানে জমা জল, রাস্তার টায়ারের দোকানে জল জমে থাকছে। সেই জল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক এলাকায় নালা নর্দমা ঠিক মতো পরিষ্কার না হওয়ায় সেখানে জল জমে থাকছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের এলাকায় এলাকায় গিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কি কি করতে হবে, তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুরনিগম কতৃপক্ষকে সাফাইয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা ঠিক মতো এলাকা পরিদর্শন করছেন কিনা তা দেখার জন্য ” নজরদারি বা সার্ভিলেন্স টিম ” করা হয়েছে। তা গোটা বিষয়টি দেখবে।
আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলি বলেন, ৭ নং বোরো এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তর হদিশ পাওয়া গেছে। এছাড়াও অন্য ওয়ার্ডে কয়েকজন করে পাওয়া গেছে। আমরা নজরদারি করছি। সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply