ASANSOL

সিবিআইয়ের বিচারককে হুমকি চিঠি নিয়ে তদন্ত শুরু পুলিশের, অনুব্রত মন্ডলের আর্জি পত্রপাঠ খারিজ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ হুমকি চিঠি বুধবার আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কোন সওয়াল জবাব, না হলেও, এই চিঠি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। একইসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিডি বা গোয়েন্দা দপ্তরও আলাদা করে এর তদন্ত করছে। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মন্ডলকে দ্রুত জামিন দেওয়ার কথা জানিয়ে সোমবার ডাক মারফত একটি চিঠি আসে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে। মঙ্গলবার সেই চিঠির কথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা আদালতের জেলা জজ সুনির্মল দত্তের মাধ্যমে তা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানান তিনি। একইসঙ্গে মঙ্গলবার চিঠি নিয়ে তিনি আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইংরেজিতে টাইপ করা ঐ চিঠির প্রেরক হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের হেড ক্লার্ক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম লেখা ছিলো।
অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ ও ডিডির অফিসাররা বর্ধমানে গিয়ে তাকে জেরা করেছে বলে জানা গেছে।


এদিকে, এদিন আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে নিজের জামিনের শুনানি শুরু হওয়ার আগে অনুমতি নিয়ে এই চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্ত করানোর আর্জি জানান অনুব্রত মন্ডল। বলতে গেলে পত্রপাঠ ভরা এজলাসে তা খারিজ করে দেন বিচারক।
এদিন দুপুরে এজলাসে ঢুকে অনুব্রত মণ্ডল বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়া নিয়ে সিবিআই তদন্ত করার কথা আদালতে বলবো কিনা তা আইনজীবীদের কাছে জানতে চান। আইনজীবীরা তাকে তা বলতে বলেন।


এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এলে তিনি অনুমতি নেন কিছু বলবো বলে। তখন বিচারককে তিনি চিঠি দেওয়া নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান। সঙ্গে সঙ্গে বিচারক তা খারিজ করে বলেন, বিচারকরা এই সমস্ত ব্যাপারে অভ্যস্ত রয়েছেন। কোন ব্যাপার নয়। বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে হচ্ছে। এই ব্যাপার রেকর্ড হলে আমাকে ” পার্টি ” হতে হবে । সুতরাং এই ব্যাপারে কোনো পক্ষ থেকে শুনানি গ্রাহ্য হবেনা। তাই তারা যাতে কোন মেনশন না করেন।

Leave a Reply