RANIGANJ-JAMURIA

বিজেপি ও তৃণমূলের নেতৃত্বরা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে শুরু করল নির্বাচনী প্রচার

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী রানীগঞ্জ : রানীগঞ্জে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার পর্বে কাজ শুরু হল শনিবার থেকেই। আর এই প্রচার পর্বের প্রথম দিন থেকেই, বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা নেতৃত্বরা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে শুরু করল তাদের নির্বাচনী প্রচার পর্বের কাজ। শনিবার সকালেই ভোট প্রচার পর্বে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি রানীগঞ্জের নিমচা গ্রামে অবস্থিত সুপ্রসিদ্ধ কালীমন্দিরে মা কালীর পুজো পর্ব সম্পন্ন করে তার ভোটের প্রচার পর্ব শুরু করেন।

এদিন তিনি অসংখ্য কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মা কালীর পুজো দিয়ে মনস্কামনা করেন মা কালীর মন্দিরে। আর এরপরই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তার বক্তব্যের দাবি করেন, রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলকে সহযোগিতা করছে পুলিশ নমিনেশন পেপার ফিলাপ করে জমা দিচ্ছে ও সন্ত্রাসের সহযোগিতা করছে এই পুলিশ তার দাবি আজ পুলিশ ছাড়া তৃণমূল শূণ্য।



কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও প্রশ্ন করে, তিনি তার দাবি করেন, ৫ দফায় ভোট করানো উচিত আর এক দফায় ভোট হলে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না বলেই দাবি তার।

করে তিনি জোট প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান এই ধানবাদ এর আয়োজিত গাঠবন্ধন কর্মসূচি আদপে হল মহাঠগ বন্ধন কর্মসূচি। তার দাবি ফিউজ লাইট আজ সূর্যের সাথে লড়াই করতে চাইছে। এই বলে তিনি নরেন্দ্র মোদী ও বিরোধী দলের তুলনা টানেন আর এর সাথেই তিনি দাবি করেন গাঠ বন্ধনের ফলাফল কিছুই হবে না। কারণ তাদের ঐক্য নেই, কে হবে প্রধানমন্ত্রী তাই ঠিক নেই। এরা সবাই পরিবার কেন্দ্রিক পার্টি, দুর্নীতিগ্রস্ত দল। নিজেকে বাঁচাতে নরেন্দ্র মোদিকে ছোট করতে চাইছেন।

সেখানেই এদিন তৃণমূলের ভোট প্রচারে এসে উপস্থিত হন তৃণমূলের জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল। তিনি দিন প্রথমে ই বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্তারনগর পরে সরস্বতী মন্দির প্রাঙ্গণ পরবর্তীতে শীতল গোস্বামী ট্রেড ইউনিয়ন অফিস ও এর পরে নুপুরে পেপার মিলে নিহত ব্রোজেন মন্ডলের পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেন তিনি তাদের তিনি সমবেদনা জানান। পরিবারের সদস্যদের সহায়তার জন্য দলীয় নেতৃত্বদের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। আর তারপরেই মধ্যাহ্নভোজন সারেন নুপুরের এক তৃণমূলের দলীয় কর্মীর বাড়িতে। এই সকল কর্মসূচিতে বিশেষভাবে উপস্থিত হন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুভদ্রা বাউরী, বিশ্বনাথ বাউরী, দেবনারায়ণ দাস সহ তৃণমূলের সকল বল্লভপুর ও এগারা অঞ্চলের তৃণমূল প্রার্থীরা।


এদিন তিনি কর্মী বৈঠক ছেড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্র আর করা মন্তব্য নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে, দাবি করেন, দেখুন মানুষ ভয় পেলে এসব কথা বলে দুটো ড্রাম যারা এসেছে তারা মিথ্যে কথা বলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে এসেছে। যখন যা বলেছে সব মিথ্যে কথা। ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে, ২ কোটি বেকারের চাকরি, পুলওয়ামার যুদ্ধ, আর এ সকলকে ছাড়িয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেছে তাই বিরোধীরা আজ পাটনাতে গিয়ে একজোট হয়েছে। ভারতবর্ষে সংসদে তিনি কোন বক্তব্য পেশ করেননি। কখনো কোথাও তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেননি। তবে আমেরিকাতে করতে হয়েছে, সেখানে মেরুকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার দাবি ২০২৪ সালে হবে মহাজোটের সরকার, আর সে সময় ই এই মহা জোটের সরকার তাদের নেতৃত্ব খুঁজে নেবেন।

Leave a Reply