ASANSOL

আসানসোল জেলে অনুব্রত মন্ডল, আচমকাই পরিদর্শনে ডিআইজি, গুঞ্জন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাজ্য কারা দপ্তরের ডিআইজি শুভব্রত চট্টোপাধ্যায় আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে সোমবার দুপুরে ঘন্টা দুয়েকের জন্য আচমকা পরিদর্শনে আসেন। আর এই সময়ে তার আসা নিয়েই শুরু হয়েছে গুঞ্জন ।বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলার সভাপতি গরু পাচার মামলার অন্যতম ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে আছেন তার অন্যতম দেহরক্ষী এই মামলার আরো এক অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।


দিনের বেলায় জেলে থাকতে এমন কোন অসুবিধা না হলেও, রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। আর এর জন্য তাকে অক্সিজেন ও ইনহেলার নিতে হচ্ছে। সোমবার দুপুরে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার পরিদর্শনে আসা ডিআইজি কারা (বর্ধমান রেঞ্জ) শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়কে এমনটাই নাকি জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনাচক্রে, সোমবার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গেও জেলের মধ্যে দেখা হয়েছে অনুব্রত মন্ডলের । তাদের মধ্যে কোন কথা হয়েছে কিনা, তা জানা যায় নি।


সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার পরিদর্শনে আসেন ডিআইজি( কারা) শুভব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি সংশোধনাগারের সমস্ত ওয়ার্ড ও জেল হাসপাতাল ঘুরে দেখেন । এই সংশোধনাগারের হাসপাতালে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল । সংশোধনাগার সূত্রে খবর, তার সঙ্গে কথা হয় ডিআইজির। অনুব্রতের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। শুভব্রতবাবুর প্রশ্নের জবাবে অনুব্রত জানিয়েছেন যে, তিনি ভাল আছেন। কিন্তু ফিসচুলা ও বুকের ব্যথা তাকে কিছুটা হলেও ভোগাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, রাতের দিকে তার শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। এ জন্য তাকে অক্সিজেন ও ইনহেলার নিতে হচ্ছে বলেও সংশোধনাগার সূত্রে জানা গেছে। জেল হাসপাতালে খাওয়াদাওয়ার কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। এও জানিয়েছেন, তিনি গ্রিন টি খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।


গরু পাচার মামলায় বিচারাধীন অনুব্রত মন্ডলের মতো আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সোমবার সকালে কেষ্টর সঙ্গে দেখা করেন সায়গল। তিনি তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গেছে, জেল হেফাজত হওয়ার পর থেকে এই মামলায় তদন্ত করা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিক এখনও পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসেননি।
তবে ডিআইজি নিজে বিশেষ সংশোধনাগার থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের জানান, একটি টেন্ডার প্রসেসের জন্য এসেছি। জেল সূত্র থেকে জানা যায়, প্রতি ৬ মাস অন্তর জেলে থাকা বন্দীদের খাবারের টেন্ডার হয়। এদিন তারই টেন্ডার অনলাইনে হওয়ার ছিল। আইজি কারার হয়ে ডিআইজি এই টেন্ডারে অংশ নেন। এছাড়াও তিনি জেলের বন্দীদের কাছ থেকে যেসব অসুবিধের কথা জেনেছেন তা তিনি রিপোর্ট আকারে ফিরে গিয়ে জানাবেন বলেও সূত্র থেকে জানা গেছে ।

Leave a Reply