আসানসোল উত্তর থানা এলাকা থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোল উত্তর থানার ২ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বাগবন্দী এলাকা থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হলো বুধবার সকালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশীলা কলোনির বটতলার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম সোমনাথ সরকার ওরফে ঋজু (২৮)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পরে পুলিশ ঐ মৃতদেহ তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমনাথ সরকার ওরফে ঋজু আসানসোলের মহীশিলা কলোনির বটতলা এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গেই থাকতো।
আসানসোলে উত্তর থানার পুলিশ বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ জানতে পারে, বাগবন্দী এলাকায় রাস্তার পাশে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পুলিশ অঞ্জাত পরিচয় হিসাবে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার স্ত্রী ও শাশুড়ি। ঐ যুবকের মৃতদেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন ও গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগালোর মতো দাগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার জানা যাবে। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান কেউ বা কারা খুন করে মঙ্গলবার রাতে কোন এক সময় ঐ যুবককে রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যায়।
আসানসোল দক্ষিণ থানায় সুমৎপল্লী এলাকার বাসিন্দা মৃত যুবকের মামা স্বপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার বোন ও তার স্বামী বছরখানেক আগেই মহিশিলা কলোনির বাড়ি বিক্রি করে কলকাতার অশোকনগরে থাকতেন। ভাগ্নে ঋজু ওরফে সোমনাথ তেমনভাবে তার বাবা মার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। মহিশীলার বটতলায় ভাগ্নে তার স্ত্রী ও শাশুড়ির সঙ্গে থাকতো। পরে বোনের স্বামী অর্থাৎ ভাগ্নের বাবা মারা যায়।
এমনকি মামা হিসেবেও তার সঙ্গে ভাগ্নে তেমন যোগাযোগ ইদানিং রাখতো না বলে স্বপনবাবু জানান। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের পরিবারের তরফে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় নি।