ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের ২২৯ বছর পুরনো বড় কালী বাড়ির কালী মায়ের বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হল

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: এবার রীতি মেনে বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হল রানীগঞ্জ বড় কালী মায়ের। রানীগঞ্জের সুপ্রাচীন, দীর্ঘ প্রায় ২২৯ বছর পুরনো বড় কালী বাড়ির কালী মা, দীর্ঘ এক বছর কালীমন্দিরে পূজিত হলেও মহালয়ার পরের বুধবার রাত্রে কালী মূর্তি সকলে মিলে দামোদর নদে বিসর্জিত করলেন শ্রদ্ধার সঙ্গে। রানীগঞ্জের দীর্ঘ প্রাচীন এই কালীমন্দির রানিগঞ্জ শহর গড়ার আগেই গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন সময়ে কোলিয়ারি স্থাপনের ফলে রানীগঞ্জের বড়বাজার যা পূর্বে রানীগঞ্জের শ্মশান হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই শ্মশানের ধারেই জোড়ের পাশে অন্ডালের তারাচরণ চট্টোপাধ্যায় নিজের বাড়িঘর ছেড়েই শ্মশানের ধারে মা কালীর পুজো করতেন।

সে সময় থেকে আজও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মহালয়ার পরে বুধবার দিন ধরে সন্ধ্যায় বিসর্জিত হন রানীগঞ্জের বড় কালী মা । এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। হাজার মানুষ এদিন বড় কালীমা কে দামোদর নদে বিসর্জিত করলেন। পরের মন্দির চত্বরে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য রানীগঞ্জের এই বড় কালীমন্দিরে প্রত্যহ নিত্য পুজো করেন ওই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। হাজার মানুষ মন্দিরে পুজো দেন।

বছরভর নানান পুজো পাবন অনুষ্ঠিত হয় এখানে। আর এ সকলের মাঝেই এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দেবী মূর্তিকে ফের বিসর্জন করার পর তার কাঠামো নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। পরে লক্ষ্মীপুজোর পরদিন থেকেই শুরু হয়ে যায় কালী মূর্তি গড়ে তোলার কাজ। যা কালীপুজোর দিনই সম্পূর্ণ করে রাতে থেকেই শুরু হয়ে যায় মা কালীর পুজো। যারপর আবারও এক বছর মা থাকবেন মা এই মন্দিরে। সেই রীতি আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছেন মন্দিরের সদস্যরা।

Leave a Reply