ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

DYFI সদস্যরা শারদ উৎসবে ঘুঘনি বিক্রি করে জানালো প্রতিবাদ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ :; মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে সিপিএমের যুব সংগঠনের সদস্যরা শারদ উৎসবের সময় ঘুঘনি বিক্রি করে জানালো প্রতিবাদ । বাংলার বেকারদের অর্থ রোজগারের জন্য ঘুঘনি বিক্রি করতে নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।সে বিষয়কে নিয়ে এবার বাম যুব কর্মীরা বেকারদের চাকরীর দাবিতে সরব হয়ে লড়াই আন্দোলন চালাচ্ছে।এবার তারা ঘুঘনি বিক্রি করে মূখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতিবাদ জানায়। অষ্টমীর দিন রাত্রে রানীগঞ্জের বল্লভপুর সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ের সামনে হাড়ি ভর্তি ঘুঘনি নিয়ে, অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ দেখিয়ে ঘুঘনি বিক্রি করতে দেখা গেল বাম যুব সংগঠনের সদস্যদের।

সোমবার সন্ধ্যা থেকেই তারা পোস্টার সেটে, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার সহজ উপায়। পিসি ভাইপো ঘুঘনি স্টল।আর তার নিচে লেখা অনুপ্রেরণায় দিদি। এমনই পোস্টার সাটিয়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপের অদূরেই তারা পথ চলতি সাধারণ মানুষকে ঘুঘনি বিলি কোরে, দুর্গাপুজোর অষ্টমীর রাত্রি কাটালেন। আর সেই অভিনব পোস্টার সাটা ঘুগনি স্টলে রীতি মতো মানুষজনের ভিড় লক্ষ্য করা গেল । এদিনের এই অভিনব প্রতিবাদের সামিল থাকতে দেখা গেল বাম যুবনেতা গণেশ বাউরী, হেমন্ত প্রভাকর, কমলাকান্ত পাল প্রমূখ কে।

তবে রানীগঞ্জের বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ঘুগনি বিক্রি করতে আসা প্রসিদ্ধ ঘুগনি বিক্রেতা কালিদার ঘুঘনির স্টলে অষ্টমীর রাত্রেও ছিল ব্যাপক ভিড়। তার দাবি যেমন ভাবেই হোক রোজগার করা প্রয়োজন তবে তা সৎভাবেই হলেই ভালো। তিনি জানান তাদের বাপঠাকুর দাদার সময়কাল থেকেই তারা ঘুগনি বিক্রি করে আসছেন যা তারা সততার সঙ্গে করছেন বলেই দাবি তার। এদিকে পূজো মণ্ডপে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানালেন অন্য সকল পূজা মণ্ডপে তারা ঘুঘনি বিক্রির বিষয়টা তেমন লক্ষ্য করেননি, এক মহিলা দর্শনার্থীর দাবি উচ্চ শিক্ষিত বেকাররা তো আর এই সমস্ত কাজ করবে না, যারা এই ঘুঘনি বিক্রির যোগ্য তারা স্টল করবে বলেই দাবি তার। তবে মোটের উপর অষ্টমীর দিন ঘুঘনি স্টল তেমনভাবে লক্ষ্য করা না গেলেও বৃষ্টি ভেজা রাত্রেই অনেক দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছে পূজা মন্ডপগুলিতে।

Leave a Reply