ASANSOLKULTI-BARAKAR

আসানসোলের কুলটি : জল, বিদ্যুৎ না থাকায় বাস উঠেছে, মানুষ শূন্য গ্রামে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আসেন সবাই

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের কুলটি পুর এলাকা বা কুলটি বিধানসভা অন্তর্গত হলো বেনাগ্রাম। জন মানুষ শূন্য এই গ্রাম।রয়েছে অনেক পুরোনো বাড়ি। রয়েছে তুলসী মন্দির ও বাঁধানো পুকুর। কিন্তু এই গ্রামে এখন কেউ বসবাস করে না। প্রতি বছর কোজাগরী লক্ষী পূজোর দিন গ্রামে একদিনের জন্য আসেন সবাই। ধুমধাম করে আনন্দের সঙ্গে হয় কোজাগরী লক্ষী পূজো। এই পুজোর দিনটিতে গ্রামে যেসব বাসিন্দারা বাস করতেন তারা সবাই সকাল থেকে এসে পূজোর যোগাড় করেন। সবাই পুজোর প্রসাদ থেকে ভোগ, সমস্ত সরঞ্জাম যোগাড় করে পূজা করেন মা লক্ষীর।

গ্রামের মানুষের বক্তব্য আগে ধুমধাম করে পালিত হত লক্ষী পূজো। কিন্তু এখন গ্রামে কেউ থাকে না। সবাই অন্য জায়গায় বাড়ি করে বসবাস করে। কিন্তু এখনো প্রতি বছর সবাই মিলে এই দিনে এসে পূজার সমস্ত সরঞ্জাম জোগাড় করে রাত ভোর থেকে লক্ষীর আরাধনা করেন।
তাদের গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে দুই গ্রামবাসী সজল মাজি ও নিমাই মাজি বলেন, আগে এই গ্রামে পানীয় জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ সহ কোন পরিকাঠামো কিছুই ছিলো না। ছিলো না যানবাহনের ব্যাবস্থা। তাই সবাই এক এক করে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। তবে এই কয়েক বছর হলো রাস্তা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ না এলেও বসেছে গ্রামের রাস্তায় বসেছে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি। তারা জানান, এই গ্রামের জমি আমাদের অজান্তেই ভেস্টেড করে দেওয়া হয়েছে। এখন গ্রালে আমাদের ভাঙাচোড়া বাড়ি রয়েছে।

লক্ষী পূজাতে এসে সেই ভাঙাচোড়া বাড়ি পরিষ্কার করিয়ে এক রাত কাটাই আমরা। বিদ্যুৎ না থাকলেও জেনেরেটার দিয়ে লাইট জ্বালাই ।তারা বলেন, কোজাগরী লক্ষী পূজা হলো আমাদের গ্রামের বড় উৎসব। তারা এও বলেন, রাজ্য সরকারের কাছে ভাঙা মন্দিরকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার আর্জি জানানো হয়েছে। এখন গ্রামে তারা না এলেও, এই মন্দির যেনো নতুন করে নির্মাণ করা হয়, তার আশায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গতঃ, কেউ না থাকায় একটা সময় এই বেনাগ্রাম ভুতের গ্রামের তকমাও পেয়েছিলো।

Leave a Reply