ASANSOL

আসানসোলে সিবিআইয়ের এসপি, অনুব্রত মন্ডলকে জেরা দুই আধিকারিকের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* গরু পাচার মামলায় ইডি তাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে কি না, তা জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার। কিন্তু তার আগে শনিবার বিকেলে আরো একদফা সিবিআইয়ের অফিসারদের জেরার মুখে পড়তে হলো আসানসোলে জেলে থাকা বীরভূমের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে আসানসোলে আসেন সিবিআইয়ের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া এসপি রাজীব মিশ্র। তিনি আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে গিয়ে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের সঙ্গে এসপির সাক্ষাৎ একেবারে সৌজন্য মুলক।


প্রসঙ্গতঃ, এই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে একইসঙ্গে গরু ও কয়লা পাচার মামলা চলছে।
অন্যদিকে, এদিন বিকেল পাঁচটার সামান্য আগে আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে আসেন গরু পাচার মামলায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা দুই আইও বা তদন্তকারী অফিসার। তাদের হাতে একটি ফাইল ছিলো। আধ ঘন্টারও বেশি সময় জেলে থাকার পরে তারা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বেরিয়ে যান। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে জানা গেছে, লটারির পুরষ্কার পাওয়া থেকে গত কয়েকদিনে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠকে জেরা করে যেসব তথ্য সিবিআই নতুন করে পেয়েছে, তানিয়েই আরো একদফা জেরা এদিন অনুব্রত মন্ডলকে করা হয়েছে। তাকে এদিনও একাধিক প্রশ্ন করেন সিবিআইয়ের দুই অফিসাররা। কিন্তু কোন প্রশ্নেরই উত্তর তিনি দেননি।


এই গরু পাচার মামলায় আর্থিক বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্ত করছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিন কয়েক আগেই ইডির অফিসাররা একদফায় আসানসোল জেলে এসে জেরা করেছেন। কিন্তু সেই জেরায় সহযোগিতা না করায় ইডি তাকে ” শোন এ্যারেস্ট ” করেছে। সেই এ্যারেস্টের কথা শুক্রবার দিল্লির রাউস কোর্টে জানিয়ে ইডি ” প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ” চেয়ে আবেদন করেছে। তার শুনানি আগামী মঙ্গলবার হওয়ার কথা। সিবিআইয়ের অফিসাররা মনে করছেন, ইডির সেই আবেদন আদালতে মঞ্জুর হলেই, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে চলে যাওয়া হবে। সেক্ষেত্রে গরু পাচার মামলায় সিবিআই আর অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে না বা সম্ভব হবে না। যে কারণেই এই সময়ের মধ্যেই সিবিআইয়ের অফিসাররা তদন্তের কাজ এগিয়ে রাখতে চাইছে।


অন্যদিকে, এদিন সিবিআইয়ের অফিসাররা গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত কিছু কাগজ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দিয়েছেন। তাতে বিস্তারিত কি আছে, তা জানা যায়নি। তবে, একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, অন্যদেশে এই মুহুর্তে পালিয়ে আত্মগোপন করে আছে কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। তার নামে হুলিয়া জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে ইন্টারপোলকেও। এখন সিবিআই গরু পাচার মামলায় সেই বিনয় মিশ্রকে নিজেদের তদন্তের আওতায় আনতে চাইছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেই কারণে একটি আবেদন এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আইনজীবীর দপ্তরে জমা দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়।

Leave a Reply