ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠের ঘটনার কিনারা, চালক সহ গ্রেফতার ৫
উদ্ধার ৫ লক্ষাধিক টাকা, একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়ায় এক কয়লা ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠ ও ছেলেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিলো গত ১৩ নভেম্বর। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ মোট ৫ জনকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা, একটি চারচাকা গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2022/11/IMG-20221122-WA0029.jpg?resize=500%2C271&ssl=1)
ধৃতদের মধ্যে কয়লা ব্যবসায়ী সুশীল আগরওয়ালের গাড়ির চালক রাজু সোনার রয়েছে। বাকিরা হলো আসলাম আনসারি, সোহরাব খান, দীপক কুমার কর ও ইমরান আনসারি। রাজু, আসলাম ও সোহরাবের বাড়ি কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়ায়। এই ঘটনার তদন্ত করতে নেমে পুলিশ গত শনিবার ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক রাজু সোনারকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে সেদিনই পুলিশ সোহরাব খান ও আসলাম আনসারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার এই তিনজনকে আসানসোল আদালতে পেশ করে পুলিশ তাদেরকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়। এরপর এই তিনজনকে জেরা করে পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা আরো কয়েকজনের নাম পায়।
সেইমতো সোমবার সকালে পুলিশ ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা থেকে দীপক কুমার করকে গ্রেফতার করে। তাকে মঙ্গলবার ট্রানজিট রিমান্ডে আসানসোলে আনে পুলিশ। এদিন তাকে আসানসোল জেলা আদালতে তুলে ১৪ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১২ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। পুলিশ রাজুদের জেরা করে বিহারের দুমকার বাসিন্দা ইমরান আনসারি ও বাঁকুড়ার গৌরাঙ্গ কুমারের নাম পায়। তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে কল্যান স্টেশন থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে আসানসোলে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গৌরাঙ্গ কুমারকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারে নি।
পুলিশ এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার ও একজনের খোঁজ করলেও, আরো দুজন এর সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত।
ঘটনার দিন রাতে সশস্ত্র দূষ্কৃতিরা সুশীল আগরওয়ালের বাড়িতে হানা দেয়। ব্যবসায়ীর গাড়ি চালক রাজু সোনার মালিকের বাড়িতে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা, ছাদ ও দরজার খুঁটিনাটির এক ছক কষে সোহরাবকে দেয়। এরপর সোহরাব দীপক কুমার কর সহ বাকিদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে কি করে লুঠপাট করা হবে তা ঠিক করে।