ASANSOL

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস, দোষী সাব্যস্ত যুবক

আসানসোল জেলা আদালতে সাজা ঘোষণা ২৫ নভেম্বর

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে সহবাস। তারপর শারীরিক প্রতিবন্ধী নাবালিকার গর্ভবতী হয়ে পড়া। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেও বিয়ে করতে অস্বীকার করা। শেষ পর্যন্ত দুবছরের বেশি সময় ধরে আসানসোল জেলা আদালতে মামলা চলার পরে বুধবার দোষী সাব্যস্ত হলেন বছর ২৯ এর যুবক গোবিন্দ বাউরি। যুবকের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার লছমনপুরে। নাবালিকাও লছমনপুরের বাসিন্দা। এদিন আসানসোল জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ ( দ্বিতীয়) তথা স্পেশাল পকসো কোর্টের বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ গোবিন্দ বাউরিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি তাপস উকিল বলেন, নাবালিকার বাবা ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কুলটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ নং ও পকসো আইনের ৪/৬ নং ধারায় মামলা করেছিলো। এই মামলায় ৪ জন চিকিৎসক সহ মোট ১১ জন সাক্ষী দিয়েছেন। পিপি আরো বলেন, সব সাক্ষ্যদান ও তথ্য প্রমানের দেওয়ার পরে এদিন বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আগামী শুক্রবার ২৫ নভেম্বর বিচারক সাজা ঘোষণা করবেন।


আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটি থানার লছমনপুরের বাসিন্দা গোবিন্দ বাউরির সঙ্গে ঐ গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী নাবালিকার সম্পর্ক তৈরী হয়েছিলো ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে। এরপর গোবিন্দ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করে। ২০২০ সালে ১২ এপ্রিল নাবালিকার পেটে ব্যথা হয়। তখন তার মা তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক করে নাবালিকার মাকে বলেন, তার মেয়ে ৬ মাসের গর্ভবতী। নাবালিকা এরপর গোবিন্দ বাউরির কথা মাকে বলে। নাবালিকার পরিবারের তরফে গোবিন্দর বাড়ি গিয়ে, তাকে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত নাবালিকার বাবা গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কুলটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

তার ভিত্তিতে পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করার পাশাপাশি যুবককে গ্রেফতার করে। মামলা চলাকালীন নাবালিকা একটি সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর সরকারি আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে নাবালিকা ও গোবিন্দ বাউরির ডিএনএ ও এফএসএল পরীক্ষা করা হয়। তাতে জানা যায়, গোবিন্দ বাউরিই ঐ সন্তানের বাবা ( বায়োলজিকালি ফাদার)। এই ভাবেই সবকিছুর গোবিন্দ বাউরির বিরুদ্ধে যায় ও সে আদালতের চোখে দোষী প্রমাণিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *