ASANSOL

বারাবনির সিপিএমের প্রাক্তন উপপ্রধানের ভাইয়ের খুনের ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ, গ্রেফতার মুল অভিযুক্ত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, কাজল মিত্র, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি বিধান সভার নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন উপপ্রধানের ভাইয়ের খুনের ঘটনার কিনারা করলো আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনার মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতর নাম সঞ্জয় কোড়া। তার বাড়ি আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির আসনবনি গ্রামে।
মঙ্গলবার দুপুরে কন্যাপুর ফাঁড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল ) কুলুদীপ সোনেয়াল। ছিলেন আসানসোল উত্তর থানার ওসি তন্ময় রায় সহ আরো পুলিশ অফিসাররা।


প্রসঙ্গতঃ, গত ২৯ নভেম্বর সকালে আসানসোলের বারাবনি বিধান সভার নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির আসনবনি গ্রামের বাসিন্দা প্রাক্তন পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাসুদেব কোড়ার ভাই রাম কোড়া (৩৭) র মৃতদেহ পাওয়া যায়। গ্রামের অদূরে ক্ষেতের মধ্যে আগাছার জঙ্গলে সেই মৃতদেহ পাওয়া গেছিলো। পরিবারের তরফে করা অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ একটি খুনের মামলা তদন্ত শুরু করে। পুলিশের পাশাপাশি আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর বা ডিডি এই মামলায় তদন্ত শুরু করে।


এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনেয়াল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে রক্ত সহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করা। ডগ স্কোয়াড এনে তল্লাশিও চালানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে দুদিনের মধ্যেই জড়িত সন্দেহে আসনবনি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় কোড়াকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে যে খুন হওয়া রাম কোড়া ও সঞ্জয় কোড়া সম্পর্কে বন্ধু। গত ২৯ নভেম্বর রাতে দুই বন্ধু মদ্যপান করে গ্রামের রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলো। সেই সময় নিজেদের মধ্যে কোনো কথা নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেই বচসার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। ধাক্কাধাক্কিতে রাম রাস্তা থেকে ৫/৬ ফুট নিচে পড়ে যায়। তাতে সে জখম হয়। সেই কারণে সঞ্জয় ভয় পেয়ে যায়। সে ভাবে পরে এই নিয়ে রাম তাকে কিছু করতে পারে। তাই এরপর সঞ্জয় প্রায় অচৈতন্য হয়ে যাওয়া রামকে ঐখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে অন্ধকারে ক্ষেতের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে রামকে সে গলায় পা দিয়ে মারে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে খুন করে বাড়ি চলে যায়। সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে সেদিন রাতে সে যে জামা, প্যান্ট ও জুতো পড়েছিলো, তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাতে রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। তার নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
ডিসিপি (সেন্ট্রাল) আরো বলেন, গত ১ ডিসেম্বর আসানসোল আদালত থেকে সঞ্জয় কোড়াকে পুলিশ ১০ দিনের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এই ঘটনার সঙ্গে সঞ্জয় একাই রয়েছে।

Leave a Reply