ASANSOL

আসানসোল জেলা হাসপাতালে কালো ব্যাজ পড়ে বিজেপি বিরোধিতায় স্লোগান তৃণমূল কংগ্রেসের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণে অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির চাপানওতোর অব্যাহত। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় মৃত্যু হওয়া তিনজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হওয়াকে নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ছিলো কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছিলো কমব্যাট ফোর্স । তারইমধ্যে জেলা হাসপাতালে মর্গের সামনে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তখন জেলা হাসপাতালের মর্গের সামনে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, দুই ডেপুটি অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ একাধিক তৃনমুল কংগ্রেসের নেতারা। ছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের কয়েকশো কর্মী ও মৃত তিনজনের পরিবারের সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দারা। অন্যদিকে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী আশা শর্মা সহ বেশ কিছু বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। সেই সময় তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীরা কালো ব্যাজ পড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও বিজেপি বিরোধিতায় শ্লোগান দিতে শুরু করেন। পাল্টা অবশ্য বিজেপির নেতা ও কর্মীরা কোন স্লোগান দেননি। তবে এই নিয়ে নতুন করে কিছু না হয়, তারজন্য পুলিশ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের একপাশে করে, তাদের সামনে পুলিশ কর্মীদের দাঁড় করানো হয়। তারপর কিছু আর হয়নি। বেলা দেড়টা নাগাদ তিনজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরে পুলিশ পাহারায় রেলপার এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে যান তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। এতকিছু হলেও, বিজেপি নেতা ও কর্মীরা মৃতদেহর কাছাকাছি যেতেও পারেননি। দূর থেকেই তারা দেখেন।


জানা গেছে, বুধবার রাতেই মৃত্যু হওয়া তিনজনের পরিবারের তরফে আসানসোল উত্তর থানায় আলাদা আলাদা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রসঙ্গতঃ, বুধবার বিকেলে আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে শিব চর্চা ও মেগা কম্বল বিতরণের এক অনুষ্ঠান ছিলো। সেই অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারি। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য ও একজনকে কম্বল বিতরণ করে চলে যান। এরপরই শুরু বিশৃঙ্খলা। কম্বল নিতে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চাঁদমনি দেবী, ঝালি দেবী বাউরি ও নাবালিকা প্রীতি সিংয়ের। তিন পরিবারের সদস্যরা উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে, ক্ষতি পূরণের দাবি করেন।

Leave a Reply