ASANSOLKULTI-BARAKAR

নিষিদ্ধ পল্লীতে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন, দোষী সাব্যস্ত স্বামী

আসানসোল জেলা আদালতে সাজা ঘোষণা আজ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* ৬ বছর আগে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলো স্বামী। ২০১৬ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার লছিপুরের চবকা নিষিদ্ধ পল্লীতে। দোষী সাব্যস্তর নাম গণেশ রায়। তার বাড়ি দূর্গাপুরের কাদারোডে। আজ শুক্রবার আসানসোল জেলা আদালতের বিচারক এডিজে ( প্রথম) মনোজ কুমার প্রসাদ তার সাজা ঘোষণা করবেন বলে জানান এই মামলার সরকারি আইনজীবী বা পিপি স্বরাজ ওরফে বাচ্চু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মোট ২১ জন এই মামলায় বিচারকের সামনে স্বাক্ষী দিয়েছেন।


আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে দূর্গাপুরের কাদারোডের বাসিন্দা মঞ্জু ওরফে মন্দিরা বাদ্যকরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিলো ঐ এলাকার বাসিন্দা গনেশ রায়ের সঙ্গে। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণেশ তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসে আসানসোলের কুলটি থানার লছিপুরের চবকা নিষিদ্ধ পল্লীতে। সেখানে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। অভিযোগ গণেশ তার স্ত্রীকে জোর করে যৌন কর্মীর কাজ করাতে চাইতো। স্ত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করতো। সেই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলা কাটে। স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফলে দিয়ে গণেশ তার আধার কার্ড সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়ির মালিক মঞ্জুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে মঞ্জু কথা বলার মতো অবস্থায় না থাকায় মাথার সিঁদুর দেখিয়ে ইশারায় বললে স্বামী তার এই অবস্থা করেছে।

খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। আহত অবস্থায় মঞ্জুকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে দূর্গাপুর থেকে মৃতার বাবা আসেন। তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন কুলটি থানায়। তার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ নং ধারায় মামলা করে। একদিন পরে পুলিশ দূর্গাপুর থেকে গণেশ রায়কে গ্রেফতার করে। তার কথা মতো নিষিদ্ধ পল্লীতে একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে মঞ্জুর সব জিনিস পুলিশ উদ্ধার করে।
৬ বছর ধরে আসানসোল জেলা আদালতে এই মামলা চলার পরে স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পুলিশ দায়ের করা দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় গণেশ রায়।

Leave a Reply