ASANSOL

আসানসোল কম্বল কান্ড : জেলা আদালতে জিতেন্দ্র, চৈতালি তেওয়ারি সহ ৫ জনের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল কম্বল কান্ডে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার নতুন মোড় নিতে চলেছে? শুক্রবার তেমনই এক পূর্বাভাস মিললো। এদিন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পুলিশের করা এফআইআরে নাম থাকা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি জিতেন্দ্র তেওয়ারি , তার স্ত্রী বিজেপির কাউন্সিলর চৈতালির তেওয়ারি, দলের আরো দুই কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত ও অমিত তুলসীয়ান ও তেজ প্রতাপের তরফে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছিল আসানসোল জেলা জজ আদালতে। জেলা জজ বিজয়েশ ঘোষাল দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরে তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।

file photo


২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারির পৃষ্ঠপোষকতায় শিব চর্চা ও তার সঙ্গে কম্বল বিতরণের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো । সেই অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যাবার পরে কম্বল বিতরনের সময় পদপিষ্ঠ হয়ে তিনজন মারা যান। গোটা ঘটনাটি নিয়ে আসানসোল উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো
তার ভিত্তিতে একটি এফআইআর করে এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ চৈতালি তেওয়ারির আবাসনেতে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ আটজনকে গ্রেফতারও করেছে।


চৈতালি তেওয়ারি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি দাবি করেন, এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় চৈতালি তেয়ারিকে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কিন্তু পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারবে না। তাকে রক্ষাকবচও দেওয়া হয়েছিলো।
এদিকে এরই মধ্যে শুক্রবার এফআআরে নাম থাকা জিতেন্দ্র তেওয়ারি, চৈতালি তেওয়ারি সহ পাঁচজনের জামিনের আবেদন জেলা জজ আদালতে করেন আইনজীবী শেখর কুন্ডু। শেখরবাবু বলেন, রাজনৈতিকভাবে এদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র। অথচ পুলিশ বলছে এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ৫ জনকেই জামিন দেওয়ার তিনি আবেদন করেন।


অন্যদিকে এই মামলায় সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত এদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরিকল্পনা বা কি কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল তা জানা যাবে না। তাই তাদের হেফাজতে নেওয়া হোক। তারজন্য তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক।
জেলা জজ বিজয়েশ ঘোষাল দুপক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শুনে ৫ জনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
এখন দেখার, এবার এই মামলায় পুলিশ এফআইআরে নাম থাকা এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়।

Leave a Reply