ASANSOL

আসানসোল প্রগতির উদ্যোগে রক্তদান শিবির

উদ্বোধনে স্বামী সোমত্মানন্দজী মহারাজ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য : আসানসোলের অন্যতম সামাজিক সংগঠন আসানসোল প্রগতি” র ৯ ম বর্ষ রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো বৃহস্পতিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে। এদিন সকালে এক অনুষ্ঠানে এই রক্তদান শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সোমত্মানন্দজী। উপস্থিত ছিলেন রক্তদান আন্দোলনের কর্মী প্রবীর ধর, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, শচীন রায়, স্বপন চৌধুরী, দীপক রুদ্র, হরি নারায়ণ মিশ্র, শোভন নারায়ণ বসু, বিনোদ গুপ্ত, আসানসোল দক্ষিণ থানার আইসি কৌশিক কুন্ডু, রিন্টু ঘাঁটি, সুব্রত(মিঠু) ঘাঁটি, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, অভিজিৎ ঘাঁটি প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বামী সোমত্মানন্দজী বলেন, স্বামীজির আদর্শ ধারায় আসানসোল প্রগতি যেভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছে তা অবশ্যই অনুকরণীয়। আমি মনে করি যারা এই সেবা পাচ্ছেন তারা উপলব্ধি করেন এই বিশাল সমাজে তিনি একা নন। সংগঠনের পক্ষে শুভব্রত ভট্টাচার্য ( পিন্টু) বলেন, গত বছর ১৩৩ জন এই শিবিরের রক্তদান করেছিল। এবারে সেই সংখ্যা আরো বেড়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান এ পর্যন্ত সংগঠনের তরফে ৮২ জন ছাত্রছাত্রীকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে তাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়াতে পেরেছি । এদিনও কুলটির এক ছাত্রীকে শিক্ষার জন্য ৬ হাজার টাকা এবং এক অসুস্থ শিশুর জন্য ৪০ হাজার টাকা তাদের পরিবারের হতে তুলে দেওয়া হয়।

আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রগতি মানে সমাজের সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, শ্রীমা আমাদের সেই পথ দেখিয়েছেন। রক্তদান আসলে জীবনদান। শুধু রক্তদানের মধ্যে দিয়েই আমাদের জীবনকে সীমাবন্ধ না রেখে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই প্রগতি কিছু করছে। ওরা আসানসোলের গর্ব। এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল আসানসোলের অন্যতম বস্ত্রবিপনী বিএন ঘাঁটি।

Leave a Reply