ASANSOL

নোটিশ দিয়ে পরপর দুদিন জিতেন্দ্র – চৈতালি তিওয়ারির আবাসনে পুলিশ, মিললো না দেখা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কলকাতা হাইকোর্টে দুদিন আগে গত বৃহস্পতিবার আসানসোলে কম্বল বিতরণের সময় পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর মামলায় আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। আর তার ঠিক পরে পরপর দু দিন শুক্রবার দুপুর ও শনিবার বিকেলে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির আবাসনে গেলো আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। কিন্তু আবাসনের দরজায় তালা লাগানো ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোলের জিটি রোডের গোধুলি মোড় সংলগ্ন ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টে তেওয়ারি দম্পতির আবাসনের সামনে শুক্রবারের মতো শনিবার বিকেলে এক ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হলো পুলিশকে । এখন পুলিশের কি করণীয়, তা অবশ্য এদিন তেওয়ারি দম্পতির আবাসনে আসা পুলিশ অফিসাররা বলতে চাননি।


জানা গেছে, এদিন যে বিকেল চারটে নাগাদ পুলিশ তাদের আবাসনে আসবে, তারজন্য শুক্রবার দুপুরে নোটিশ দিতে যায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। কিন্তু আবাসনের দরজায় তালা থাকায় দরজায় নোটিশ লাগিয়ে দেয় পুলিশ। নোটিশে বলা হয়েছে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসেছিলে। কিন্তু সেখানে কেউ না থাকায় কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর পুলিশ ফিরে আসে। শনিবার বিকেল চারটের সময় পুলিশ আবার আবাসনে আসবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারা যেন থাকেন। সেই মতো এদিন ঠিক চারটের সময় আসানসোল উত্তর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে আসে। শুক্রবারের মতো এদিনও আবাসনের দরজা ও গেটে তালা লাগানো ছিলো। কারোর দেখা সেখানে পাওয়া যায় নি। সেখানে উপস্থিত পুলিশ অফিসাররা তা ফোনে উর্ধতন অফিসারদের বলেন। এরপর তারা একঘন্টা পরে ফিরে যান।
তবে, এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন খারিজ হওয়া ও পরপর দুদিন আবাসনে পুলিশ আসা নিয়ে জিতেন্দ্র ও চৈতালি তেওয়ারির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তাদের মোবাইল ফোন সুইচড অফ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।


উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি সহ চার অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন বৃহস্পতিবারই খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও মহঃ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ । তাদের মধ্যে ৬ জনকে ৬২ দিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল উত্তর থানার রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালে শিবচর্চা এবং কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী কিছু কম্বল বিতরণ করে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। এরপর কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তখনই পদপিষ্ঠ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো ৬ জন।

Leave a Reply