ASANSOL

আসানসোলে বন্ধ সিমেন্ট কারখানা নতুন করে চালুর উদ্যোগ মালিকের, স্থানীয়দের নিয়ে গাজোয়ারি শাসক দলের কাউন্সিলারের, অভিযোগ- পাল্টা অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বন্ধ হয়ে থাকা একটি সিমেন্ট কারখানা নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন মালিক। অভিযোগ, সেই কারখানার স্ট্রাকচার তৈরিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে গাজোয়ারি করে বাধা দিচ্ছেন আসানসোল পুরনিগমের ৫৮ নং ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিল সঞ্জয় নুনিয়া। একই অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা প্রাক্তন কাউন্সিলর নুনিয়ার বিরুদ্ধে। কারখানা মালিক শিল্পপতি পবন গুটগুটিয়া সরাসরি শাসক দলের কাউন্সিলারের এমন অভিযোগ করায় শোরগোল পড়েছে।


বুধবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার (পিপি) অধীন ধেমোমেনের কাছে সাতাইশা এলাকায়। আগে থেকেই পুলিশ এলাকায় থাকায় বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে স্ট্রাকচার তৈরীর কাজে থাকা শ’খানেক কর্মীকে বার করে দেওয়ায় আপাততঃ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলার ও প্রাক্তন কাউন্সিলর। তারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন কারখানা মালিকের বিরুদ্ধেই।


জানা গেছে, ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় আসানসোল সিমেন্ট কারখানা। কারখানা মালিক পবন গুটগুটিয়া ঝাড়খণ্ডের এক বন্ধুর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা নতুন করে চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তারজন্য কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছিল। বুধবার সকালে যখন কাজ চলছিলো তখন স্থানীয় লোকজনেরূ এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, এখানে বহিরাগতদের এনে কাজ করানো হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনকে কাজে নিতে হবে। খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়া ও প্রাক্তন কাউন্সিলর রোহিত নুনিয়া এলাকায় আসেন। তারা স্থানীয় মানুষদের দাবিকে সমর্থন জানান।
আসানসোল সিমেন্ট কারখানার মালিক পবন গুটগুটিয়া বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে দুর্গাপুরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এই এলাকার রাস্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুরোধ মেনে নিয়ে, সেই রাস্তা তৈরির ব্যবস্থা করেছেন। এরপর বন্ধ হয়ে থাকা কারখানা নতুন করে খোলার পরিকল্পনা নিয়েছি। কিন্তু এলাকার কিছু মানুষ এদিন কাজ বন্ধ করে দেয়। কাজ করতে আসা মানুষদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমার ফাঁকা জমিতে পাঁচিল তৈরি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গোটা বিষয়টি রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ সবাইকে বলেছি। কিন্তু তারপরেও এমন হচ্ছে। এইভাবে তো কারখানা ও শিল্প করা যায় না। আমাকে বাধ্য হয়ে অন্য পরিকল্পনা নিতে হবে।
অন্যদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়া বলেন, বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করানো হচ্ছে। যার বিরোধিতা করেছে স্থানীয় লোকজনেরা। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গেছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল।

Leave a Reply