ASANSOL

রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ১২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে

ডবলুবিএসইডিসিএল কন্ট্রাক্টর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শাখা আসানসোলে, একগুচ্ছ অভিযোগ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ চুরি বা লাইনের ক্ষতি হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আর কোথাও খোলা তার নয়। রাজ্য জুড়েই এবি কেবল বা সম্পূর্ণ ঢাকা তার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সেই সঙ্গে আরো বেশ কিছু বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজও হবে। আর এই কাজের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমায় ৬০০ কোটি ও দূর্গাপুর মহকুমায় ৭০০ কোটি সহ রাজ্যে ১২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে।
রাজ্য জুড়ে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের লাইন লস বা বিদ্যুৎ চুরি হয় তা বন্ধ করতেই এই বিনিয়োগ করা হবে বলে বুধবার সাংবাদিকদের জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম ( ডবলুবিএসইডসিএল) কন্ট্রাক্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শিশির বন্দ্যোপাধ্যায় ও সভাপতি পার্থ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


বুধবার দুপুরে আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়কের জামুড়িয়ার নিংঘায় একটি হোটেলে হওয়া এক অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের স্বীকৃত বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকাদাররা এই সংগঠন যোগ দেন। রাজ্যব্যাপী এই সংগঠনে বর্তমানে স্বীকৃত ঠিকাদারের সংখ্যা পনেরশোর মতো। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর দাবি, রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলাতেই তাদের প্রতিনিধিরা আছেন।


এদিন সংগঠনের আসানসোল শাখার সভাপতি পদে সব্যসাচী রায় ও দেবাশীষ চক্রবর্তীকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রাজ্য সভাপতি।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ দেখা যাচ্ছে অন্য রাজ্য থেকে বড় বড় কোম্পানিরা করতে আসছে টার্ন কি পদ্ধতিতে। এক সঙ্গে কয়েকশো কোটি টাকা করে টেন্ডার করা হচ্ছে। এর ফলে আমরা সেই টেন্ডারের অংশ নিতে পারছি না। স্বাভাবিক ভাবেই সেই কাজও আমরা পাচ্ছি না। স্বাভাবিকভাবেই ভিন রাজ্য থেকে কর্মীদের এনে কাজ করতে হবে। অথচ ঝড়, জল, বৃষ্টি, বন্যার সময় বিদ্যুৎ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এইসব ঠিকাদার ও তাদের কর্মীরা। তারা বলেন, সেই কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি অবিলম্বে তাদেরকে এই কাজ করতে সুযোগ দেওয়া না হয় তাহলে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট করবো। তখন রাজ্যে অন্ধকার নেমে আসবে।


সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ চুরি বা লাইনের ক্ষতি হয় মুর্শিদাবাদ জেলায় ৬২ শতাংশ। আর পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিশেষ করে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে আগের থেকে চুরির পরিমাণ কমলেও এখনও গড়ে তা ৩৯ শতাংশ রয়েছে। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয় তারও কিছু কিছু গত কয়েক বছরের নিম্নমানের সরবরাহ হওয়ায় মাঝেমধ্যেই কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যদিও এই রাজ্যে বর্তমানে বিদ্যুতের কোথাও কোথাও কোন ঘাটতি নেই। এই বিষয়টাও আমরা বিদ্যুৎ ভবনের সর্বোচ্চ আধিকারিকদের বারবার বলছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু নজর দেওয়া হচ্ছে না বলে তাদের মত।

Leave a Reply