ASANSOL

দোলের দিন সাত সকালেই কলকাতার উদ্দেশ্যে অনুব্রত মন্ডল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* দোলের দিন মঙ্গলবার সাত সকালে আসানসোল জেল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলেন অনুব্রত মন্ডল। সকাল ছটার সময় তার জেল থেকে বেরোনোর কথা থাকলেও, তা হয়নি। তিনি পুলিশ পাহারায় ৬ বেজে ৪৫ মিনিটে জেলের গেট থেকে বাইরে বেরোন। মোট ৪ টি গাড়ির কনভয় আসানসোল জেলের সামনে ছিল। তিনটি পুলিশের গাড়ির সঙ্গে একটি আসানসোল জেলা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ছিলো। যার মধ্যে ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও একজন স্বাস্থ্য কর্মী। তারমধ্যে একটি গাড়িতে তিনি উঠে পড়েন।

তার পড়নে ছিলো হালকা সুবজ রঙয়ের পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা। গাড়িতে উঠার সময় তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি। এমনকি, সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের দিকে ঘুরেও তাকাননি। তাকে বেশকিছুটা হলেও, বিধ্বস্ত ও ক্লান্ত দেখাচ্ছিলো।
সকালে এগারোটার সময় কলকাতায় জোকা ইএসআই হাসপাতালে অনুব্রতর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা রয়েছে।
আসানসোল জেল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালের দূরত্ব সবমিলিয়ে ২৩৮ কিলোমিটার। দোল থাকায় রাস্তাঘাট এদিন সকালে অনেকটাই ফাঁকা থাকার কথা। তার সবকিছু ঠিক থাকলে এগারোটা পরে পুলিশের কনভয় অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতায় পৌঁছে যাবে।


এদিন সকালে আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর আগে অনুব্রত মন্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয় জেল কতৃপক্ষের তরফে। তিনি সকালেও চা খেয়েছেন। এরপর জেল সুপারের চেম্বারে কাগজে সইও করেন বলে জানা গেছে।
গত শনিবার বিকেলের পর থেকে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা ও জটিলতা তৈরী হয়। কারা তাকে জেল থেকে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে চলে দড়ি টানাটানি। শেষ পর্যন্ত সকালে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের হস্তক্ষেপে সেই জটিলতা কাটে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলে দেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির বিবেক চৌধুরীর বিশেষ বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মানতে হবে। বলা হয় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের পাহারায় জেল কতৃপক্ষ তাকে আসানসোল জেল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাবে। সেখানে কোন কেন্দ্রীয় হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তারপর জেল কতৃপক্ষ রাজ্য পুলিশের উপস্থিতিতে অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেবে। এরপর ইডি তাকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাবে ও রাউজ এ্যাভুনিউ কোর্টে তুলবে।

Leave a Reply