ASANSOL

আসানসোলে পানীয়জলের দাবিতে শাসক দলের কাউন্সিলারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পানীয়জলের দাবিতে সোমবার সকালে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো আসানসোল পুরনিগমের ৩৯ নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গ মহিশীলা এলাকায়। অবিলম্বে পানীয়জল চেয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলা ও পুরুষেরা। খবর পেয়ে এলাকায় ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলার জ্যোতি শংকর কর্মকার এলে তাকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তাকে দীর্ঘক্ষন বসিয়ে রাখেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তবে, জলের দাবিতে এইভাবে কাউন্সিলারকে আটকে রাখাকে একবারেই সমর্থন করেননি আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাউন্সিলারকে আটকে রাখলে কি সমস্যা মিটবে? তাহলে বলবো কাউন্সিলারকে এক/দু ঘন্টা কেন, আরো বেশি সময় আটকে রাখুন। ঐ ওয়ার্ডের পানীয়জলের সমস্যা নতুন নয়। আমরা চেষ্টা করছি, মেটানোর।


যদিও কাউন্সিলার জ্যোতি শংকর কর্মকার এলাকায় যে পানীয়জলের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, এই ডাঙ্গ মহিশীলা এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা নতুন নয়। এই সমস্যা বহু পুরনো। আমি এই পানীয়জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছি। সবরকম ভাবে চেষ্টা করছি সমস্যা মেটানোর। মেয়র বিধান উপাধ্যায় সহ সবাইকে বলেছি। তারাও চেষ্টা করছেন। আমি মঙ্গলবার আবার এই ব্যাপারে আবার মেয়রের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো। এদিন তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও আটকে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কি আর করবো? যখন এলাকার বাসিন্দারা আমাকে কাউন্সিলার হিসাবে জিতিয়েছেন, তখন দাবি তো আমাকে শুনতে হবে।


জানা গেছে, এই ডাঙ্গ মহিশীলা এলাকায় একটি ওভারহেড জলাধার আছে। সেখান থেকে অন্য জায়গায় পানীয়জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই এলাকায় ঠিক মতো জল পাওয়া যায়না। আর এখানেই এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ।
এদিন এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখানোর সময় ঐ জলাধারের গেট লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে পুর ইঞ্জিনিয়াররা এলে তাদেরকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকায় জল না পাওয়া না গেলে অন্য এলাকায় জল সরবরাহ করা যাবে না। জলাধার বন্ধ করে রাখতে হবে।


গ্রামের বাসিন্দা সজল দাস ও সুশান্ত মন্ডলরা বলেন, আমরা কাউন্সিলারের কাছে কিছু চায়নি। শুধু ভোটের সময় বলেছিলাম এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা মেটাতে। তিনি আশ্বাসও দেন। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও কিছু হয়নি। শুধু বলছেন হবে। তিনি আসছেন। ইঞ্জিনিয়াররা আসছেন। দেখছেন, শুনছেন, আর চলে যাচ্ছেন। এদিন আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। এরপরেও যদি, পানীয়জলের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলারের আশ্বাসে বেশ কয়েক ঘন্টা পরে বাসিন্দারা শান্ত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *