West Bengal

রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার আইনশৃঙ্খলার জন্য নয়, শুধুমাত্র পুলিশের সাহায্যের জন্য

সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বেঙ্গল পুলিশ ডিরেক্টরেট অবশেষে পুলিশ সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করেছে এবং এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। শনিবার জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, দুর্গাপূজা, বড়দিন এবং নববর্ষের আগের বিশেষ উৎসব উপলক্ষে সিভিক ভলান্টিয়াররা পুলিশ কর্মীদের ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত দায়িত্বে সহায়তা করবে। নিয়মিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা ট্রাফিক ব্যবস্থার দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকবে যেমন অবৈধ পার্কিং প্রতিরোধে পুলিশ কর্মীদের সহায়তা করা ইত্যাদি।ওই নির্দেশিকা অনুসারে এই সিভিক ভলান্টিয়ার আরেকটি প্রধান ভূমিকা হলো ট্রাফিক নিয়ম অনুসরণে যাত্রীদের সাহায্য করা এবং গাইড অর্থাৎ সহায়তা করা।২১ শে মার্চ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল ডিভিশনের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা সংজ্ঞায়িত করতে এবং বিশদ নির্দেশিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছে।

৯ হাজার টাকা মাসিক মাইনে পাওয়ার অধিকারী হবেন

রাজ্য সরকারকে ২৯ মার্চের মধ্যে বেঞ্চে একটি বিশদ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের একটি অংশ যারা পুলিশ ম্যানুয়াল অনুসারে নিয়মিত পুলিশ কর্মীদের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ার প্রয়োগ না করার কারণে এবং তাদের বাড়াবাড়ির লাগাতার অভিযোগের পরে আদালতের ওই নির্দেশ এসেছে। কলকাতা পুলিশ এবং বেঙ্গল পুলিশে ২০১২ সালে সিভিক ভলান্টিয়ার পদ তৈরি করা হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের নথি অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে ১,১৯,৯১৬ জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ চুক্তির ভিত্তিতে হয় এবং তারা বীমার মতো কিছু অতিরিক্ত সুবিধা ছাড়াও মাসিক ৯ হাজার টাকা পাওয়ার অধিকারী। বিরোধী দলগুলো প্রথম থেকেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। বিরোধী দলগুলির যুক্তি ছিল যে এই সিভিক ভলান্টিয়াররা মূলত ক্ষমতাসীন তৃণমূলের ইউনিফর্মধারী ক্যাডার। এমনকি পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হত, কিন্তু এখন এই নির্দেশিকা পরে তা সম্ভব হবে না।

Leave a Reply