গ্রামে খুশির হাওয়া, নতুন বছরের আগেই এল বিদ্যুতের সংযোগ
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- এতদিন গ্রামে ছিল না বিদ্যুতের কোনও সংযোগ।রাতের অন্ধকারে আলোর একমাত্র অবলম্বন ছিল কেরোসিনের লম্ফ এবং হারিকেন। কিন্তু অবশেষে সেই পরিস্থিতির বদল হয়েছে। সালনপুর ব্লকের
সলানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুঁইয়া পাড়া গ্রামে খুশির হাওয়া।
নতুন বছর শুরুতেই প্রচন্ড গরমের আগে গরম থেকে রেহায় পেতেবাড়িতে এল বিদ্যুতের সংযোগ।গ্রামে সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস। এতোদিন বেশ কিছু বাড়িতে সোলারের মাধ্যমে আলো জ্বলে উঠলেও, বেশিরভাগ বাড়ি রাতের অন্ধকারে ডুবে যেত।
দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায় মহাশয় এর তৎপরতায় ভুঁইয়া পাড়া গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছালো।দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষের বাস সেখানে। দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে বিদ্যুৎ ছিল না।স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় ঐ গ্রামের বাসিন্দাদের। এরপর এই বিষয়টি গ্রামের বাসিন্দারা বারাবনি বিধানসভার বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায় কে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গ্রামের অসুবিধার কথা জানান।
আর এরপর বিষয়টি বিধায়ক জানার মাস খানেকের মধ্যেই গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরল।
প্রায় দুশো পরিবারের ৬৫ কেবি নতুন ট্রান্সফার্মার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল।
জানাগেছে এইগ্রামটি ইসিএল এর বনজেমারি
এলাকার অন্তরভুক্ত ছিল কিন্তু ২০১৮ সালে খনি সম্প্রসারণ এর কারনে ইসি এল ঐ এলাকা দখল নেওয়ার ফলে সেখানকার
বাসিন্দারা ভুঁইয়া পাড়ায় উঠে যেতে বাধ্য হয়।কিন্তু ইসি এল এর তরফে কোন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করা হয়নি ।তার কারনে তখন থেকেই সেই এলাকা বিদ্যুৎ হীন ছিল।
তবে দিদির দুত কর্মসূচিতে এসে বিধায়ক গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার কথা জানতে পেরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো ব্যাবস্থা করেন যার কারনে
আজ বিধায়ক নিজে উপস্থিত থেকে গ্রামে পৌঁছে ট্রান্সফার লাগানোর পর বিদ্যুৎ পরিষেবার উদ্বোধন করেন।এদিন বিধায়ক ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন
জিলা পরিষদের কর্মাধখ্য মহম্মদ আরমান ,পঞ্চায়েত
সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি,সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র ,সমাজ সেবি ভোলা সিং ,সালানপুর পঞ্চায়েত প্রধান দীপিকা বাউরী,সমাজসেবী ফুচু বাউরী, সহ অনেকে ।