ASANSOL

আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে এমএসসি নার্সিং চালু করার চিন্তা ভাবনা, মেডিক্যাল কলেজ তৈরীর প্রস্তাব : মন্ত্রী মলয় ঘটক

আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের বিএসসি নার্সিং ট্রেনিংয়ে ও ল্যাম্প লাইটিং ও গ্র্যাজুয়েশান সেরিমনির আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় :
শনিবার সকালে আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক প্রদীপ জ্বালিয়ে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের নার্সিং কলেজের বিএসসি নার্সিং ট্রেনিংয়ে ল্যাম্প লাইটিং ও গ্র্যাজুয়েশান সেরিমনির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এদিন মোট ৪২ জন ল্যাম্প লাইটিং সেরিমনির মাধ্যমে নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি এদিন ৩৮ জন নার্সিং প্রশিক্ষণ শেষ করা মেয়েদের হাতে পদক ও মানপত্র তুলে দেওয়া হয়।



অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের ইএসআই এমবি স্কিমের ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ( সিএমওএইচ) ড: শেখ মহ: ইউনূস, এমবি স্কিমের এডি অ্যাডমিন অভিজিৎ বসু, এমবি স্কিমের ডেপুটি ডিরেক্টর প্ল্যানিং ড: ময়ূখ রায়, আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের সুপার ডাঃ অতনু ভদ্র, দুর্গাপুর ইএস আই হাসপাতালের সুপার ড: দীপাঞ্জন বক্সী, ই এস আই নার্সিং কলেজের অ্যাক্টিং প্রিন্সিপাল অনিমা দাস, আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, এডিডিএ – র ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত,
আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের এমএমআইসি গুরুদাস চ্যাটার্জি , বরো চেয়ারম্যান অনির্বাণ দাস, হেল্থ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের কর্ণধার ড: অরুনাংশু গাঙ্গুলী, আসানসোল পুরনিগমের দুই কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা ছাড়াও জীবন সুরক্ষা রক্তদান সংগঠনের পক্ষ থেকে অসীম সরকার ও অন্যান্যরা গণমান্য ব্যক্তিগণ।



শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বিএসসি নার্সিং পশ্চিমবঙ্গে প্রথম এবং সারা ভারতবর্ষে ব্যাঙ্গালোর এবং আসানসোল রয়েছে। বিএসসি নার্সিং পাশ পাস করলে চাকরি অপেক্ষা করে থাকে। তিনি বলেন,
আসানসোল ইএসআই কলেজের প্রিন্সিপাল অনিমা দাসের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ১০৩ জন এখনো পর্যন্ত পাস করেছেন আসানসোল ইএসআই নার্সিং কলেজ থেকে যেখানে ৬১ জন রাজ্য সরকারি , ৩ জন কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি পেয়েছে এবং বাকিরাও বিভিন্ন নামেই বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছেন। ৪ বছরের এই কোর্স করলে চিকিৎসা শাস্ত্রের অনেক কিছুই আধুনিক পঠনপাঠনের মাধ্যমে অবগত হন এবং প্রশিক্ষিত হয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মলয় ঘটক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
মেডিক্যাল কলেজ কোথায় হবে সেই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নেন। আমাদের আসানসোল ইএসআই কলেজে সাড়ে ২৯ একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে সাড়ে চার এক করে ই এস আই হাসপাতাল এবং স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে। আমাদের একটি রিজিওনাল কমিটি রয়েছে । সেই রিজিওনাল কমিটির মিটিংয়ে এই জমিটির যাতে মেডিকেল কলেজ করতে দেওয়া হয় তার একটা রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এমএসসি নার্সিং যাতে চালু করা যায় সেই ব্যাপারেও চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইএসআই এমবি স্কিমের ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “একজন নার্সের টেকনিক্যাল কোয়ালিফিকেশন অর্থাৎ উদাহনস্বরুপ যতটা একজন ভালো চ্যানেল করতে পারবে তার থেকেও বেশি জরুরী ভালো ব্যবহার করা রোগীর সঙ্গে। একজন রোগীর সঙ্গে হাসি মুখ ও ভালো ব্যবহার অনেক রোগ সারিয়ে দিতে পারে। অনেকেই হয়ত ইএসআই হাসপাতাল যোগদান করবে , আবার অনেকে দেশে বিদেশে পরিষেবা দেবে বিভিন্ন হাসপাতালে, কিন্তু সবার আগে গর্বের সাথে যাতে বলতে পারো আমরা আসানসোল ইএসআই নার্সিং কলেজ থেকে পাশ করেছি।”

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক ড: শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, যারা আজকে প্রদীপ নিয়ে আজ শপথ গ্রহণ করবে তারা যাতে সারা জীবন ধরে নার্সিং প্রফেশন কে আরো উজ্জ্বল করে তোলেন এই কামনা করি।
হাসপাতালের সুপার ডাঃ অতনু ভদ্র বলেন, আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে আজ কনভোকেশন এবং ল্যাম্প লাইটিং সিরিমনি হল নার্সিং এমন একটা প্রফেশন যেখানে শিক্ষলাভ করলে ভারতবর্ষের যে কোন জায়গায় তারা পরিষেবা দিতে পারেন। নার্সিং কলেজ এর নতুন বিল্ডিং এর শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে সেই বিল্ডিং ব্যবহৃত হচ্ছে এবং হোস্টেল খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এছাড়া আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে হাসপাতালের নার্সিং কলেজকে বিএসসি থেকে এমএসসি নার্সিং এর দিকে উন্নীত করা।আমাদের শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের মেডিকেল কলেজ করার চিন্তাভাবনা ব্যক্ত করেছেন। এটি হলে শিল্পাঞ্চলবাসীর জন্য এটি একটি উপহার হবে।

Leave a Reply