বেপরোয়া মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত এক
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-একদিকে বেপরোয়া মিনিবাস গুলির চলাচল অপরদিকে চিত্তরঞ্জন আসানসোল প্রধান রাস্তা সহ সামডি রোড এর রাস্তার দুপাশে জাম যার ফলে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী থেকে পথচারীদের ।
তেমনিই বৃহস্পতিবার সকাল সকাল রূপনারায়নপুর বাজারে এক মিনিবাসের মারা গেল এক ব্যাক্তি ।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকালে পিঠাকিয়ারির বাসিন্দা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা বর্তমান সদস্য অসীম ঘোষের বাবা অনিল ঘোষ (৭৬) তার এম-৮০ বাইক নিয়ে সবজি বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারে ঢোকার মুখে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখার কোনো জায়গা না পেয়ে সামান্য দূরে সিং মার্বেলের সামনে তিনি বাইকটি রাখেন। এরপর বাজার সেরে বাইকের কাছে পৌঁছাতেই হঠাৎ ডাবর মোড় থেকে চিত্তরঞ্জনমুখী একটি মিনিবাস দুরন্ত গতিতে ছুটে এসে তার গাড়ির উপরে প্রায় চেপে যায়
বলে স্থানীয়রা জানান।
যার ফলে ঐ ব্যাক্তি রাস্তার মধ্যে পড়ে যান এবং তার শরীরের উপর দিয়ে মিনিবাসের চাকা চলে যায়। বাইকটি ভেঙে তছনছ হয়। আশেপাশের লোকজন দ্রুত তাকে তুলে প্রাথমিক শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেন। পরে তাকে আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয় ।তবে ঘন্টা কয়েক পর চিকিৎসা চালাকালীন ঐ ব্যাক্তি মারা যায় ।
চিকিৎসক জানান বাসের ধাক্কায় তার কোমরে হাত এবং পায়ে গুরুতর চোট লাগে কিন্তু বয়েস বেশি হবার কারনে গুরুতর আঘাতে শেষ পর্যন্ত মারা জাই ঐ ব্যাক্তি।
এদিকে ঘটনার পর
স্থানীয় মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ।এবং বাস টিকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান দিনের পর দিন রূপনারায়ণপুর কালী মন্দির থেকে একেবারে বিজয় স্যুইটস এলাকা পর্যন্ত রাস্তার দুই ধার জবর দখল করে যে যেখানে পেরেছে দোকান লাগিয়ে দিয়েছে। একই অবস্থা দুর্গা মন্দির রোড এবং সামডি রোডেরও। কোথাও ফলের দোকান, কোথাও ঠেলা লাগিয়ে খাবার-দাবারের দোকান, আবার এরই মধ্যে টোটো অটো টাটা সুমো সবকিছুই একেবারে রাস্তার উপরে ভিড় করে থাকে। বারংবার ফুটপাত মুক্ত রাখার দাবি জানালেও কোনোভাবেই সেই উদ্যোগ সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি বরং দোকান দানি আরও বিস্তৃত হয়েছে একেবারে রাস্তার পিচ পর্যন্ত।
এই অবস্থায় রূপনারায়ণপুর পুলিশ পুণরায় জবর দখলকারীদের হঠাবার জন্য রাস্তার দুদিকের ব্যবসায়ীদের কড়া নোটিশ পাঠাবে বলে জানা গেছে। যেভাবে যানবাহন বেড়েছে
রূপনারায়নপুর বাজার প্রধান রাস্তা একেবারে সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে ।যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হয়েপড়েছে । আবার কিছু মানুষের অভিযোগ মিনিবাস গুলি যাত্রী নেবার জন্যে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে আবার দেরি হলে তারা একে অপরকে ওভারতেক করতে জায় জার ফলেও এধরনের ঘটনা ঘটে ।