আইনমন্ত্রী দিল্লি হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন। কয়লা চোরাচালান মামলায় তিনি আরও কিছুদিন ‘সুরক্ষা’ পেয়েছেন এবং ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। দিল্লি হাইকোর্ট মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে। ইডি কয়লা চোরাচালান মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে। উপস্থিতি এড়াতে মলয় ঘটক দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিশেষ বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়।মলয় ঘটকের ক্ষেত্রে ইডি-র বক্তব্য জানতে নোটিশ জারি করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। কিসের ভিত্তিতে মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছে? আদালত জানতে চায়। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২৬ এপ্রিল। ততক্ষণ পর্যন্ত মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। দিল্লি হাইকোর্ট ইডিকে মৌখিক নির্দেশ দেয়।
কাকতালীয়ভাবে, গত মাসের শেষে, কয়লা পাচার মামলায় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে ইডি দিল্লিকে তলব করেছিল। তার সহকারীকেও ডাকা হয়। ২৯ মার্চ, মলয়কে দিল্লির প্রত্যাবর্তন ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেদিন হাজির হননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী।কিন্তু এরপর তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন। প্রথম দফায় দিল্লি হাইকোর্ট তাকে ১২ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়েছে। এবার তিনি আরও ১৪ দিনের সুরক্ষা পেয়েছেন।
বস্তুত জেনে রাখা ভাল যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলকাতা ও আসানসোলে মলয় ঘটকের বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। কলকাতায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ইসিএল আধিকারিকদের গ্রেফতারের পর, সিবিআই মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে কয়লা চোরাচালান মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। একই সময়ে, মলয় ঘটক এখন এই মামলায় ইডি-র নোটিশে রয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।