আসানসোল আদালতে হাজিরা জিতেন্দ্র তেওয়ারির

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ হাইকোর্ট শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন। সেই জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শর্ত ছিলো যে আদালতে আসানসোল কম্বল কান্ডের মামলা চলছে, সেখানে শুনানির দিনে হাজিরা দিতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার আসানসোল জেলা আদালতে সিজিএমের এজলাসে হাজিরা দিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলারদের দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি, কাউন্সিলার গৌরব গুপ্ত সহ অন্যান্য বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা। জেলা আদালতের সিজিএম বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ কুমার মন্ডল এদিন ছুটিতে ছিলেন। তাই তার পরিবর্তে এদিন সিজিএমের দায়িত্বে ছিলেন অমৃতা বন্দোপাধ্যায়।

অন্যদিকে গরমের কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত আসানসোল আদালতের আইনজীবীরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন। তার মধ্যেই এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি সিজিএমের কাছে হাজিরা দেন। সামান্য সময়ের জন্য শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত সিজিএম নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ জুলাই। জিতেন্দ্র তেওয়ারির হয়ে এদিন সিজিএমের এজলাসে ছিলেন আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও অভিজিৎ ঘটক। সরকারি আইনজীবী বা পিপি ছিলেন মনোজ প্রসাদ।

riju advt


শুনানির পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি আইন ও আদালতকে সম্মান করি। একজন নাগরিক হিসেবে আমার সেটা দায়িত্ব। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এদিন আসানসোল আদালতে হাজিরা দিলাম। আইনজীবিদের কর্মবিরতি চলছে আসানসোল আদালতে। তাও সিজিএমের এজলাসে শুনানি হয়েছে। সিজিএম আগামী ২৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে নির্দেশ দেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারির হাইকোর্ট থেকে জামিন দেওয়ার আরো একটি শর্ত ছিলো, তাকে আপাততঃ আসানসোলের বাইরে থাকতে হবে। যতদিন না তা শিথিল করা হচ্ছে। সেই কারণে তিনি এখন আসানসোলের বাইরে আছেন।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এই শর্ত মতো আসানসোলের বাইরে আছি। তা নিয়ে আদালতে নতুন করে কোন আবেদন করিনি। পরে তা নিয়ে ভাববো। তবে আমি আসানসোলের বাইরে থাকলে যদি, আসানসোলের উন্নতি হয়, তাহলে তাও রাজি। আমি কলকাতায় থাকার পরে যদি শুনি আসানসোলে ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়েছে, তাহলে আমি ৬ মাসও বাইরে থাকতে রাজি আছি।
এদিন তিনি নানা ইস্যুতে তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *