ASANSOL

আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তিনদিনের বাংলা সঙ্গীত মেলা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ শেষ হল তিনদিনের বাংলা সঙ্গীত মেলা। এর আয়োজক আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। গত ৫ মে শুক্রবার থেকে আসানসোলে রবীন্দ্রভবনে এই সঙ্গীতমেলা শুরু হয়।
আসানসোল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতার অলোক রায়চৌধুরী, চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত, দীপাবলী দত্ত, গৌতম ঘোষাল সৌরভ দাসের মত নামীদামী শিল্পীরা।রাগাশ্রয়ী, পুরাতনী বাংলা গান, লোকগীতি, রবীন্দ্র-নজরুল- অতুলপ্রসাদ- রজনীকান্ত- দ্বিজেন্দ্রগীতি থেকে একেবারে বর্তমান সময়ের আধুনিক বাংলা গানে জমজমাট ছিল তিনদিনের সঙ্গীত মেলা।


এবছরের বাংলা সঙ্গীত মেলার দ্বিতীয় বর্ষ। বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য মেনে ৫ মে ঢাকের তালে সূচনা হয় বাংলা সঙ্গীত মেলার। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্থার সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক সন্দীপ কুমার ঘোষ, বিশ্বজিত মুখোপাধ্যায় , শচীন রায়, বর্নালী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা।
এই মেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ জানান, বাংলা আমাদের প্রাণের ভাষা, আনন্দের ভাষা সত্যজিত রায়ের এই বার্তাকে অন্তরে রেখে সুরের মাধ্যমে বাংলা গানের মধ্যে দিয়ে বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং বাংলা সংস্কৃতি চর্চায় সকলকে একসুরে বাঁধা আমাদের লক্ষ্য। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার বিশ্বজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, এতজন শিল্পীকে আমরা একমঞ্চে নিয়ে আসতে পেরেছি, এটা সম্ভব হয়েছে এখানকার মানুষের সহযোগিতায়। তাদের জন্যই তিনদিনের এই সঙ্গীত মেলা সফল হয়েছে। এক শিল্পী অপর শিল্পীকে সংবর্ধনা দিয়েছেন এটাই এই সংস্থার ঐতিহ্য।

বিশ্বজিত বাবু বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও শিল্পীরা আর্থিক বা শারীরিক কখনও কোন অসুবিধায় পড়লে এই সংস্থা সাধ্যমতো তাকে সহযোগিতা করে থাকে। শচীন রায় বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য বাংলার শিল্প ও শিল্পীকে বাঁচিয়ে। আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। এটাই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ও। এবছর সঙ্গীত মেলার অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুতকারক জানু রুইদাসকে স্মারক দিয়ে ও উত্তরীয় পড়িয়ে সম্মান জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি তার হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দেন।

Leave a Reply