ASANSOL

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে অভিনব ভাবনা জেলা হাসপাতালের, আক্রান্ত শিশুদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ” বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ” বা ” ওয়ার্ল্ড থ্যালাসেমিয়া ডে ” পালনে সোমবার এক অভিনব ভাবনা আসানসোল জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের। এমন ভাবনা এমন একটা দিনে এই প্রথম বলে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ও তাদেরকে সহজ, সরল ও অন্য শিশুদের মতো জীবন ধারন করতে এদিন জেলা হাসপাতালে করা হলো ” বসে আঁকো প্রতিযোগিতা “। আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কনফারেন্স হলে এর আয়োজন করা হয়। সবমিলিয়ে ৩৭ জন শিশু ছবি আঁকায় বসেছিলো। তাদেরকে উৎসাহ দিতে তুলি রং নিয়ে ছবি আঁকতে বসে পড়েন জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস। পাশে পাশে থেকে শিশুদেরকে সবমসময় অনুপ্রাণিত করেছেন জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক তথা থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের ইনচার্জ ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ স্বাগত চক্রবর্তী ও ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়।



ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলা হাসপাতালে তালিকাভুক্ত থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত প্রায় ৩০০ জন। তারমধ্যে যারা আসতে পারবে এমন ৩৭ জন শিশুকে এদিন আনতে অভিভাবকদের বলা হয়েছিলো। তারা সবাই এসেছিলো। আমরা এমন একটা দিনে সচেতনতার প্রচারে এই ভাবনা এই প্রথম নিয়েছি। শিশুরা যাতে খুশি থাকে তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, এখানে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের রক্ত দেওয়ার পাশাপাশি ” আয়রন চিলেশান থেরাপি ” করা হয়। এটা খুবই জরুরি। তবে ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়ের মতে এই রোগ আটকানোর অন্যতম উপায় হলো বিয়ের আগে ” থ্যালাসেমিয়া চিহ্নিতকরণ পরীক্ষা ” করা। জেলা হাসপাতালে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যাপারে সবাই যদি একটু সতর্ক হন, তাহলে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত আটকানো যাবে। এটা আমাদের অনুরোধ সবাই এগিয়ে আসুন।


জেলা হাসপাতালের সুপার বলেন, আমাদের যা করার সব করি। চিকিৎসক হিসাবে বলতে পারি, একটি সচেতন ও সতর্ক হলেই এই রোগ কমানো যাবে।
জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষের এমন ভাবনায় খুশি শুভরঞ্জন খাঁ সহ সব থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের বাবামায়েরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *