ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট লেবেল ইন্ডাস্ট্রি মনিটারিং কমিটির বৈঠকে জেলাশাসক, “শিল্প সুবিধা” পোর্টাল চালু, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ( Asansol News Today ) আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক দপ্তরে আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার কনফারেন্স হলে বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা ‘ ডিস্ট্রিক্ট লেবেল ইন্ডাস্ট্রি মনিটারিং কমিটি ” র একটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয়ে রিভিউ বা পর্যালোচনা করা হয়েছে। ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নিয়ামতপুর চেম্বার, রানিগঞ্জ চেম্বার, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স সহ বিভিন্ন বনিকসভার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলার ডিপিআরডিও তমোজিৎ চক্রবর্তী।


এই বৈঠকে “শিল্প সুবিধা” নামে একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ব্যবসায়ীদের জন্য খোলা এই পোর্টালের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের তাদের সমস্যার বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ হবে। সেই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে মিউটেশন, পলিউশন দপ্তরের অনুমতি সহ ১১টি বিষয়ে আলোচনা হয়।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে ফসবেকির সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, এই ধরনের বৈঠকের আয়োজনকে স্বাগত জানাচ্ছি। নিয়মিতভাবে প্রতি মাসে যদি এই ধরনের বৈঠক করা হয়, তাহলে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের উপকার হবে। তিনি, বিশেষ পোর্টাল চালুকে স্বাগত জানান।


পশ্চিমবঙ্গ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিল্পপতি পবন গুটগুটিয়াও জেলাশাসকের তরফে এমন একটি বৈঠকের আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সময়ে সময়ে এ ধরনের বৈঠকের আয়োজন জেলাশাসকের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের কাছে একটি ভালো বার্তা যাবে। যা জেলার শিল্পের বিকাশ ঘটাবে।
মনদীপ সিং লালী ও জগদীশ বাগরি বলেন, এর আগে বেশ কয়েকবার জেলাশাসকের তরফে জেলা পর্যায়ে এই ধরনের বৈঠক হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা অনেক উপকৃত হয়েছেন। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামী দিনেও এমন বৈঠক জেলার শিল্পকে আরও চাঙ্গা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সবাই।
তবে রানিগঞ্জের প্রবীণ শিল্পপতি আরপি খৈতান বলেন, প্রায়ই নিচুতলায় গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয় না। যে কারণে সঠিক সময়ে সমস্যার সমাধান হয় না। তাতে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের অসুবিধা হয়। তার জন্য জেলা প্রশাসনের আরো সজাগ হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply