ASANSOL

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : অভিযোগের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ বাংলাদেশী পড়ুয়ার

বেঙ্গল মিরর , আসানসোল, সৌর দীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : ( protest by bangladeshi student at kazi najrul university ) পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শুক্রবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলো। এখানকার এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা এক পড়ুয়া। দূর্গাপুর মহিলা পুলিশ থানায় এই নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশন ও রাজ্য মহিলা কমিশন এই নিয়ে অবহিত রয়েছে। তারা তদন্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাল কমপ্লেন কমিটি বা আইসিসিও তদন্ত করে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।
এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ চন্দন কোনারকে ইসি বা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা ডাকেননি। এই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এক পড়ুয়ার ধর্ষণের অভিযোগ করা নিয়ে আইসিসি বা ইন্টারন্যাল কমপ্লেন কমিটির কিছু সুপারিশ কার্যকর করা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো।


এদিন দুপুরে ঐ বাংলাদেশী পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তিনি রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে জানতে চান কেন ইসি বৈঠক ডাকা হচ্ছে না? রেজিষ্ট্রেশন উপাচার্য নিয়ে একটা টানাপোড়েনের কথা বলে বৈঠক না ডাকার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি সুবিচার চাইতে এসেছি। কিন্তু রেজিস্ট্রার তা দিতে দিচ্ছেন না। উপাচার্য চাইলেও রেজিষ্ট্রেশন তা করতে দিচ্ছেন না। আমি আজ বিচার নিয়ে যাবো। তা না হলে, আমি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করবো। এর জন্য দায়ী থাকবে যিনি এদিন বৈঠক ডাকেননি।

এই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রারের কোন মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
তবে উপাচার্য বলেন, আমি জরুরি ভিত্তিতে এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ইসি বৈঠক ডাকার জন্য রেজিস্ট্রারকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি ডাকেননি। কেন জানিনা। আমি তা জানতে চাওয়ায় রেজিস্ট্রার আমাকে বলেন, আমি কেন পদত্যাগ করছি না? যা তিনি পদাধিকারবলে বলে আমার কাছে জানতে চাইতে পারেননা। কারণ তিনি নিজেই আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে পদে আছেন। উপাচার্য আরো বলেন, এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশী পড়ুয়ার অভিযোগ নিয়ে আইসিসির সুপারিশ কার্যকর করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা হলো না। আমি আইসিসির সুপারিশের তালিকা রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে, পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলেছি।

Leave a Reply