RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জে দুটি বাজি তৈরীর কারখানায় হানা, গ্রেফতার ২

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : ( Asansol Raniganj News ) পূর্ব মেদিনীপুরের এগ্রারায়, বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এবার নড়েচড়ে বসলো, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। শুক্রবার রাত্রেই রানীগঞ্জ থানার পুলিশ অতর্কিত অভিযান চালালো, রানীগঞ্জের বক্তার নগর এলাকার দুটি বাজি তৈরীর কারখানায়। যেখানে পুলিশ অন্যায় ভাবে অনুমোদন ছাড়াই বাজি প্রস্তুত করছে এই অভিযোগে বক্তানগরের বাসিন্দা বাবলু মালাকার ও গুরুদাস মালাকার নামের দুই বাজি প্রস্তুতকারক কে গ্রেফতার করে। আর তার সাথেই তাদের বাড়ির মধ্যে থাকা ১৮ কেজি বাজি তৈরির বারুদ ও ১৫ কেজি বাজি তৈরীর অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে।

এ বিষয়ের প্রেক্ষিতে ধৃত ওই দুই ব্যক্তিকে শনিবার তোলা হয় আসানসোল জেলা আদালতে। যেখানে বিচারক ঐ দুই অভিযুক্তকে কোন অনুমোদন ছাড়াই বাজি প্রস্তুত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে, আগামীতে তাদের শুনানির জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল। যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের আইনজীবী গোপাল নন্দা দাবি করেছেন, ওই দুই অভিযুক্তর কাছে যে মজুদ থাকা বারুদ ও কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা তারা পূর্বেই বাজি তৈরীর কোন অনুমোদন না পেয়ে বাড়িতে জমা রেখেছিলেন।

আইনজীবীর দাবি তাদের যে মক্কেল রয়েছে তারা নির্দিষ্ট অনুমোদনের পরই বাজি প্রস্তুত করত, যা বিয়ে বাড়ি ও নানান অনুষ্ঠানে রং মশাল ও তুবড়ি জাতীয় বাজি তৈরি করে ব্যবসা চালাতে তারা। ওই আইনজীবী এদিন দাবি করেন, যে তার মক্কেলরা বারংবার বাজি তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট অনুমোদন পাওয়ার আবেদন জানালেও, করোনা কালের সময় থেকে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তারা বাজি তৈরির অনুমোদন পাননি। সে কারণেই তাদের বেঁচে থাকা কাঁচামাল তারা মজুত করে রেখেছিল, যা রং মশাল ও তুবড়ি তৈরির বাজি তৈরি করার জন্য ছিল। কিন্তু বারংবার তারা অনুমোদনের জন্য আর্জি জানিয়েও কোন অনুমোদন না মেলায়, সেই কাঁচামাল তারা রেখে দিতে বাধ্য হয়।

এদিন বক্তারনগর এলাকায় পৌঁছে তাদের বাড়ির পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরেই পুজো ও বিভিন্ন উৎসবের সময় বাজি তৈরীর কাজ করতেন, আর তার জন্য তারা নির্দিষ্ট অনুমোদন নিয়ে বাজি তৈরি করতেন, বলেই দাবি করেন তারা। এই ব্যবসা তাদের বংশানুক্রমিক ব্যবসা বলেও জানিয়েছেন তারা। তাদের বক্তব্যে দীর্ঘ কয়েকটি বছর তারা, এই বাজি তৈরির কোন অনুমোদন না পাওয়ার কারণে, শুধুমাত্র দশকর্মার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করার সাথেই, চাঁদ মালা ও ডাকের সাজ করে তাদের দিন গুজরান করছেন। পরিবারের সদস্যরা আর্জি জানিয়েছেন তাদের দীর্ঘদিনের যে ব্যবসা বাজি তৈরি করে মানুষজনের মনোরঞ্জন করা, যার মাধ্যমে তারা রং মশাল ও তুবড়ি জাতীয় বিভিন্ন আকর্ষণীয় বাজি প্রস্তুত কোরে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান করে থাকেন, সেই বাজি প্রস্তুতির জন্য তারা যাতে আবারও নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে বাজি তৈরির অনুমোদন পান, তার ব্যবস্থা করুক সরকার, বলেই আর্জি জানান তারা।

Leave a Reply