RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জ ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রী অনুষ্কা তার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে তাক লাগালো রাজ্যস্তরে, বিদেশে গিয়ে ছবি আঁকার সুযোগ করে নিল

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : সময়ের ব্যবহার নিয়ে ছবি এঁকে এবার পশ্চিমবাংলার পড়ুয়া বিদেশে গিয়ে ছবি আঁকার সুযোগ করে নিল, নিজের অনবদ্য প্রতিভাকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে। এবার তার রং তুলির টানে ফুটে তুলেছে সময়ের মূল্য নিয়ে বিশেষ প্রাপ্তির বিষয়। তার দাবি সর্বদাই সময় কে কাজে লাগিয়ে যারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চায় তারাই এই পৃথিবীতে সফল। যারা প্রতিটি সেকেন্ডের মূল্য দিয়ে নিজের প্রতিভা, নিজের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ করে তারা হয় শ্রেষ্ঠ স্থান পাওয়ায় তারা হয় উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। আর সেখানেই যারা মিনিটে মিনিটে সময়ের মূল্য বোঝে, তারা হয় মধ্যবিত্ত পর্যায়ের মানুষ। আর যারা ঘন্টায় ঘন্টায় সময়ের মূল্য বোঝে তারা হয় নিম্নবিত্ত মানুষ।

এমনই বিষয় এবার জামুরিয়ার তপসির বাসিন্দা, রানীগঞ্জ ডিএভি পাবলিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা মুখার্জি তার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে তাক লাগালো রাজ্যস্তরে।সে এবার অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটির হস্তশিল্প মেলায় ২৭শে মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর মঞ্চে হওয়া অঙ্কন প্রতিযোগিতা সাড়ে ৩০০ জন প্রতিযোগি কে পেছনে ফেলে সেরা হল। আর সেই সেরার সেরা অনুষ্কা, তার নিজের শিল্প সত্তা দেশের বাইরে ভিন দেশে, অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি দ্বারা আয়োজিত অঙ্কন প্রতিযোগিতায় তুলে ধরার সুযোগ করে নিল।

আগামী ২৭ এ মে এবার সে আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনীতে অংশ নিতে চলেছে। তবে এই প্রথমবার নয় এর আগেও সে দার্জিলিঙে রাজ্য স্তরের আকা প্রতিযোগিতায় ভারতের সৌন্দর্য এই বিষয়বস্তু ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে, অনূর্ধ্ব 14 বছরের বিভাগে। সেই আঁকা প্রতিযোগিতায় তাকে রুপোর সরস্বতী পুরস্কার তুলে দেন অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি। পঞ্চম শ্রেণী থেকেই আঁকা প্রশিক্ষণ নিয়ে বারংবার বিভিন্ন সময়ে নানা প্রতিযোগিতায় সফল হওয়া এই ছাত্রীকে এবার জামুড়িয়ার, বাহাদুরপুর মধ্যমপল্লী যুব গোষ্ঠী দ্বারা আয়োজিত অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে এই শিল্পীকে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে সম্মানিত করলেন স্যামসেল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুমিত চ্যাটার্জি।

রবিবার পল্লী অঞ্চলে সকাল-সকালই শুরু হয় কবি প্রণাম অনুষ্ঠান, যেখানে এদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গ্রামীণ এলাকার প্রায় আড়াইশো জন শিল্পী বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে নাচ গান আবৃত্তি কবিতা সহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নাচ গান পরিবেশন কো, সকল সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করে শিল্পীরা। এদিন ১৩ টি গ্রামের প্রায় ১৭০ জন স্কুল পড়ুয়া অংশ নেয় বসে আঁকো প্রতিযোগিতায়। যেখানে তারা যেমন খুশি আঁকো প্রতিযোগিতায় নিজেদের ক্যানভাস ভরিয়ে তোলে। এর সাথেই বহু শিল্পী তাদের নিজেদের শিল্প সত্তা তুলে ধরে এই সাংস্কৃতিক মঞ্চে। আর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সফল হওয়া অসংখ্য শিল্পীদের এদিনের এই অনুষ্ঠান মঞ্চে পুরস্কৃত করেন উদ্যোক্তারা। সেই সংস্কৃতি মঞ্চে এবার অনুষ্কা মুখার্জিও বিশেষভাবে সম্মানিত হওয়ায় গর্বিত তার পরিবারের সদস্যরাও। এদিন তার মা দাবি করেন চিত্রশিল্প বা আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রতিভা অন্বেষণের জন্য, শিল্পীদের আরও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন বিদেশের যে সকল শিল্পী রয়েছে, তারা যে রূপ উপকরণ ব্যবহার করে তাদের আঁকা কে সমৃদ্ধ করে, ভারতীয় শিল্পীদেরও সেই বিষয়গুলিকে অনুকরণ করার প্রয়োজন রয়েছে ।

Leave a Reply