বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে খুনের অভিযোগ দায়ের ছেলের, তদন্তে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol News Today ) বাড়িতে একা থাকা এক বৃদ্ধা আলপনা রায়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় বুধবার খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন ছেলে সনৎ রায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ একটি খুনের মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে বৃদ্ধার ছেলের করা অভিযোগে বাড়ি থেকে তেমন কোন চুরি ও লুঠপাটের উল্লেখ না থাকায় খুনের ” মোটিভ ” নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বা রহস্য দানা বেঁধেছে।
মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিলো আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোড লাগোয়া সূর্য সেন পার্ক এলাকায়। মৃত বৃদ্ধা আলপনা রায়ের দেহ (৬৮) মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তাতে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছিলো বৃদ্ধার মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে করা হয় , বৃদ্ধার মাথায় ভারী কোন জিনিস দিয়ে মারা হয়েছে। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে কোন এক সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে। বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে, এমন অনুমান করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিলো।
মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই পুলিশ কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকা বৃদ্ধার ছেলে সনৎ রায়কে ঘটনার কথা জানায়। তিনি আসানসোলে আসছেন বলে পুলিশকে জানান। রাতে তিনি আসেন। বুধবার তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, আসানসোল শহরের জিটি রোড লাগোয়া অন্যতম অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত সূর্য সেন পার্কে আলপনা রায় নিজের দোতলা বাড়িতপ বেশ কয়েক বছর ধরে একাই থাকতেন। বৃদ্ধার স্বামী প্রয়াত বিধান চন্দ্র রায় এলআইসি বা জীবন বিমা কর্পোরেশনের কর্মী ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন আলপনা রায়ের ব্যালকনির দরজা খোলা রয়েছে। তারা ডাকেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে তারা ঢুকে দেখেন বৃদ্ধা ঘরের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন মাথা দিয়ে রক্ত বেরোনোর দাগ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা আসানসোল দক্ষিণ থানার পিপিতে খবর দেন। পুলিশ ছুটে আসে। পরে পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও একাধিকবার ঐ বাড়িতে যান।
জানা গেছে, বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার সময় ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিলো। তবে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় পুলিশ বুঝতে পারছিলো না যে, বাড়ি থেকে কিছু খোয়া গেছে কিনা। পুলিশ তার ছেলের ফেরার অপেক্ষায় ছিলো।
পুলিশের এক আধিকারিক বুধবার বলেন, বৃদ্ধার ছেলে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বৃদ্ধাকে খুনের মোটিভ কি বা কেন তাকে খুন করা হয়েছে, তা জানতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এর কিনারা করা হবে।
- রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা, বিহারের বাসিন্দা আরো এক পুলিশের জালে
- Raniganj Senco Dacoity : छपरा से चौथी गिरफ्तारी
- BURNPUR Stadium में SAIL ISP ने लगाए आधुनिक फ्लडलाइट
- Train Accident : 5 की मौत 30 घायल, घटनास्थल पर आ रहे रेल मंत्री
- Railpar के युवक की हत्या कर शव दफनाया, 3 दोस्त गिरफ्तार