KULTI-BARAKAR

লছিপুরে দুষ্কৃতীরা চালককে ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ছিনতাই করে পালাল, তদন্তে পুলিশ, ৭ দিন পরেও অধরা

বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামতপুর এলাকার নিষিদ্ধপল্লী লছিপুরে গ্রাহক পরিচয় দিয়ে চালককে ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। পুলিশ চালক ও দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর সিসিটিভি ফুটেজ থেকে স্ক্যান করা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের ছবি।
নিষিদ্ধপল্লী এলাকা থেকে চার চাকার গাড়ি ছিনতাইয়ের খবর এসেছে। চালককে ফাঁকি দিয়ে দুই যুবক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। গাড়ির মালিক উত্তম কুমার পাল, যিনি জামতারা জেলার নালা থানার বাসিন্দা।

Lachhipur Redlight

তিনি বলেন যে বৃহস্পতিবার রাতে একটি নম্বর থেকে কল আসে, তারা বলেছিল আমাদের আসানসোল রেলওয়ে স্টেশনে যেতে হবে, আপনার গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। তখন তিনি তার ড্রাইভারের নম্বর সেই ব্যক্তিকে দেন এবং বলেন যে ২ জন আসানসোল স্টেশনে যাবেন তার সাথে কথা বলুন। গাড়ির চালক অজয় মির্ধা ওই ২ জন যুবককে গাড়িতে করে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়ী আসানসোল জুবিলী মোড়ের আশেপাশে পৌঁছলে দুই যুবক বলে নিয়ামতপুরে অবস্থিত একটি নিষিদ্ধপল্লী ( Red light area) লছিপুরে চলুন, আমরা আলাদা খরচ দেব। এদিকে এলাকা থেকে দুই দালাল বাইক নিয়ে বাইপাসে পৌঁছায় এবং চালককে আশ্বস্ত করে যে সীতারামপুর দিয়ে গেলে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। ড্রাইভার তাদের কথা মেনে নিষিদ্ধ পল্লী এলাকায় পৌঁছে যায়। পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করে একটি ঘরে পৌঁছে সবাই মদ্যপান করে। এদিকে দুই যুবকের একজন জানায়, সে তার পার্সটি গাড়িতেই ভুলে ফেলে এসেছে এবং ড্রাইভারের কাছে গাড়ির চাবি চায়। একইসঙ্গে অন্য এক যুবক প্রস্রাব করার অজুহাতে অন্যত্র চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দুই যুবকের ড্রাইভারের কাছে ফিরে আর ফিরে আসে নি।



তখনই দোকানদার চালকের কাছে ১৭ হাজার টাকা বিল চায়। চালক অজয় বলেন আমিই চালক। দোকানদার তাকে কড়া গলায় জিজ্ঞেস করলে সে দোকানদারকে পার্কিং লটে নিয়ে যায়। তখনই দেখেন গাড়িটি নেই, গভীর রাতে এরপর খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় এবং সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা শুরু করে। কিন্তু ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশের হাতে গাড়ির কোনো হদিস মেলেনি। গাড়ির মালিক উত্তম পাল বলেন, আমার অভিযোগের কোনো রিসিভ কপি পুলিশ দিচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় আসতে বলছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, ১৮ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মোবাইলে গাড়ির টোল ট্যাক্স কাটার মেসেজও এসেছে।



এদিকে পার্কিংয়ের লোকজন জানায়, দুইজন ও একজন চালক গাড়িতে করে পার্কিংয়ে পৌঁছায় এবং গাড়ি পার্কিং করার পর ওই তিনজন নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় মার্কেটে যায়। কিছুক্ষণ পর এক যুবক এসে পার্কিংয়ের টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। দুই ঘণ্টা পর তারা জানতে পারে গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। চালককে ফাঁকি দিয়ে দুই যুবক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে, পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে তদন্তের স্বার্থে কিছু বলতে চায়নি তবে গাড়িটি খুঁজে পেতে এবং অপরাধীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ এবং মাইথন টোল ট্যাক্স ফুটেজ স্ক্যান করছে।

Leave a Reply