ASANSOL

আসানসোলে মোদি সরকারের ৯ বছরের সাফল্যের প্রচারে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী, ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে আক্রমণ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই ৯ বছরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে সারা দেশের সবকটি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির তরফে একযোগে প্রচার চালানো হচ্ছে। এর নাম দেওয়া ” সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যানের ৯ বছর “। দেশের লোকসভা কেন্দ্র গুলোর মধ্যে বিজেপির পাখির চোখ হলো আসানসোল।

এই আসানসোল কেন্দ্র থেকে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও হন। কিন্তু ২০২১ সালে রাজ্য বিধান সভা নির্বাচনের পরে বাবুলের মন্ত্রীত্ব খোয়া যায়। এর ফলে বাবুল সাংসদ পদ ও বিজেপি ছেড়ে তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়। আসানসোল থেকে জিতে যায় একসময় বিজেপি সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হওয়া শত্রুঘ্ন সিনহা।


এবার সেই আসানসোলে মোদি সরকারের সাফল্যের ৯ বছরের প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাটিল।
একাধিক কর্মসূচি নিয়ে তিনি বুধবার সকালে আসানসোলে আসেন। এদিন দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের উষাগ্রামের একটি হোটেলে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি সরকারের ৯ বছরের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে, দুই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ( আসানসোল দক্ষিণ) ও ডাঃ অজয় পোদ্দার ( কুলটি), জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এবং লোকসভা কনভেনার সুব্রত মিশ্র। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা মিডিয়া ইনচার্জ সৌম্য দলুই সহ অন্যান্যরা।


সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত দেশের অন্য সব সরকারের আমলে কি হয়েছিল তার সঙ্গে ২০১৪ সালের পরে এখনো পর্যন্ত কি হয়েছে, তার একটি তুলনামুলক তথ্য দেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। তার জন্য কেন্দ্র সরকার এই খাতে টাকা আটকে দিয়েছে। একইভাবে যেমনটা হয়েছে আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও। কিন্তু তার কাছে যখন নির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হয় কি কি দুর্নীতি হয়েছে? গোটা বাংলার সব জেলায় তা হয়েছে? তার জবাবে তিনি বলেন, আমি সঙ্গে করে সব তথ্য তো আনিনি। বর্তমান কেন্দ্র সরকারই তো ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে তিনবার সেরার পুরস্কার দিয়েছে। এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, তখন ভালো কাজ হয়েছিলো। তাই পুরষ্কার পেয়েছিলো। তারপর দূর্নীতি হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে কেন্দ্র সরকারের একটা রিপোর্ট তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এটা আমার জানা নেই। যদি এমন কোন নির্দেশ থাকে, তাহলে কেন্দ্র সরকার তা অবশ্যই দেবে।
সাংবাদিক সম্মেলনের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিকেল নাগাদ তিনি আসানসোলের ইএসআই হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। পরে বার্ণপুরে ইস্কো গেষ্ট হাউসে মন্ত্রী পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন।

Leave a Reply