ASANSOL

আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায় : আসানসোল কোর্টের আইনজীবী ব্রিজেশ্বর দাস খুনের ঘটনায় বুধবার বিকেলে আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেশ তিওয়ারি, সেক্রেটারি বাণী কুমার মণ্ডল, সিনিয়র আইনজীবী অমিতাভ মুখার্জি, পিপি ইনচার্জ স্বরাজ চ্যাটার্জি তাদের নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেশ তিওয়ারি, সেক্রেটারি বাণী কুমার মণ্ডল, সিনিয়র আইনজীবী অমিতাভ মুখার্জি, পিপি ইনচার্জ স্বরাজ চ্যাটার্জি, মহেন্দ্র সাউ, সুপ্রিয় হাজরা, অভিজিৎ রায়, মণিপদ্ম ব্যানার্জী, রতন কুমার দুবে, অনুপ মুখার্জি, শান্তনু ব্যানার্জী, ধীরেন চৌধুরী, পলাশ ব্যানার্জি, বিনোদ চৌধুরী, নয়ন কুমার ঘোষ, অংশুমান ব্যানার্জী,অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় ওরফে রাইমা, অভয় গিরি প্রমুখ আইনজীবীরা প্রধানত উপস্থিত ছিলেন।

সকলেই সমবেত দাবি জানান যে এই ঘটনার আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হোক এবং আগামীকাল সব অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাই সকল অভিযুক্তকে আরও অন্তত ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার দাবি জানানো হয়। তাদের আরও গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত কারণ এই আইনজীবীরা এই পুরো ঘটনায় বিশ্বাস করতে পারছেন যে মাত্র তিনজন জড়িত ছিল ওই হত্যাকাণ্ডে।



জেনে রাখা ভালো যে কয়েকদিন আগে, মৃতের স্ত্রী শম্পা দাস, শ্বশুর তারক নাথ দাস এবং ল ক্লার্ক মনোজ কুমার যাদবকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, গত ১০ জুন সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ব্রিজেশ্বর দাস। তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় তার একটি নিখোঁজ ডায়েরিও দায়ের করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজোড়ায় তাঁর শ্বশুর অভিযুক্ত তারক নাথ দাসের বাগানে ওই আইনজীবীর দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুলিশ নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর ও এ ঘটনায় জড়িত লক্লার্ককে গ্রেপ্তার করেছে।

Leave a Reply