ASANSOL

মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়ক ও নেতাদের, পোড়ানো হলো মুখ্যমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনারের ছবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ( Asansol News Today ) পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে শনিবার গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রহসন হয়েছে। পুলিশের সাহায্যে রাজ্যের শাসক দল গনতন্ত্রকে হত্যা করে বুথ দখল করে ভোট লুঠ করেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এমনই একাধিক অভিযোগ তুলে রবিবার বিকেলে আসানসোলে জিটি রোডের বিএনআর মোড়ে রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিজেপির আসানসোল জেলা সাংগঠনিকের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। করা হয়েছিলো রাস্তা অবরোধও। এদিন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা প্রতীকী মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে, তাতে লাল রং লাগিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন। রাস্তায় বসে পোড়ানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ছবি।


ছিলেন জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বিধায়ক তথা রাজ্য সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল, কুলটির বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক তথা মুখপাত্র বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর গৌরব গুপ্তা, অভিজিৎ রায়, আশা শর্মা সহ অন্যান্যরা।
বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের নাম প্রহসন হয়েছে। পুলিশের সামনে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতারা সন্ত্রাস চালিয়েছেন। আমাকে রানিগঞ্জে পার্টি অফিসে হাউস এ্যারেস্ট করে রাখা হয়। অথচ আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক রানিগঞ্জে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের আইন শাসক দলের নেতাদের জন্য একরকম। আর বিরোধী দলের কাছে একরকম।


তিনি এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে অনেক জায়গায় শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়। যাতে তারা দেরী করে উঠেন। আমরা শুধু নই, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি তো বলেছেন ও তিনি রিপোর্ট দিয়েছেন যে, তাদেরকে কোন লজিস্টিক দেওয়া হয় নি। দেওয়া হয় নি স্পর্শকাতর বুথের তালিকাও। আমরা চাই গোটা নির্বাচন বাতিল করা হোক। কেননা, কালকের ভোট সাধারণ মানুষের রায় নেওয়া হয়নি।
বিক্ষোভ সভা থেকেও বিজেপির জেলা সভাপতি সহ অন্য নেতারাও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক দল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনকে আক্রমণ করেন।

Leave a Reply