আসানসোল স্টেশনে আরপিএফের হানা, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার দুটি সাপ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল স্টেশনের প্লাটফর্মে প্ল্যাটফর্মে আরপিএফের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ বা সিআইবির কনস্টেবলরা সাদা পোশাকে ঘুরে বেড়ান। তারা অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য খোঁজ খবর করতে নজরদারিও চালান।
অন্যদিনের মতো, শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ আসানসোল রেল স্টেশনের ১ নং প্লাটফর্মে আদ্রা- আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি আসে। যাত্রীরা সকলেই কামরা থেকে নেমে যান। এরপর প্রতিদিনকার মতো এদিনও আরপিএফের সিআইবির ২ কনস্টেবল সুরজিৎ কুন্ডু ও অনিমেষ ঘোষ দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী ট্রেনের কামরায় উঠে পড়েন। কোন যাত্রীর কিছু পড়ে আছে কিনা তা খোঁজ করতে গিয়ে তারা দেখেন একটি সিটের নিচে সাদা মতো প্লাস্টিকের বস্তা রয়েছে। আর তার ভেতরে ছিল একটা কার্টুন। প্রথমে তারা সেই বস্তা না নিয়ে যেসব যাত্রীরা এই ট্রেন থেকে নেমেছেন তাদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে চান কেউ কিছু ভুলবশত কামরায় ফেলে গেছেন কিনা।




উত্তরে যাত্রীরা জানান কেউই ঐরকম কিছু তারা ফেলে যান নি। এরপরেই ঐ সাদা বস্তাটি নিয়ে সুরজিৎ এবং অনিমেষবাবু সোজা নিয়ে চলে যান ৫ নম্বর প্লাটফর্মে আরপিএফের ওয়েস্ট পোস্টের ইন্সপেক্টর অফিসে। ইন্সপেক্টর সোমনাথ বারিকের সামনেই ঐ বস্তা থেকে কার্টুন বার করেন তারা। পরে কার্টুন খুলতেই সকলেই রীতিমতো চমকে ওঠেন । কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ চিৎকার করে দূরে সরে যান। দেখা যায়, ঐ কার্টুনের মধ্যে রয়েছে লালচে রঙের দুটি বড় সাপ। সঙ্গে সঙ্গে আবার দুই কনস্টেবল কোন মতে সেই কার্টুন বস্তায় ঢোকান। খবর দেওয়া হয় আসানসোলের বন দপ্তরের আধিকারিকদের। বন দপ্তরের কর্মীরা সেখানে এসে পৌঁছান। লিখিতভাবেই আরপিএফের কাছ থেকে কাগজে-কলমে ঐ সাপ দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তারা।
বন দপ্তরের তরফে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিএফও বুদ্ধদেব মন্ডল বলেন, এগুলো হলো ” স্যান্ড বোয়া” সাপ। সাধারণত দুটো মুখ হয় এই সাপের। সাইজে এগুলো প্রায় ৫ ফুট বা ৫ ফুটের বেশি হয়ে থাকে । এই ধরনের সাপের চোরাই বিক্রিবাটা বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে এই সাপের চাহিদা আছে। হয়তো সাপের চোরাই ব্যবসার জন্য কারবারিরা এই সাপ নিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন, সাপ দুটিকে বন দপ্তরের কর্মীরা আরপিএফের কাছ থেকে এনে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন।