ASANSOL

আসানসোল শহরে হোটেলের রুম থেকে দেহ উদ্ধার, যক্ষা স্টেট টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইউনিটের কনসালটেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যু

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ পশ্চিমবঙ্গের যক্ষা বা টিউবারকিউলোসিস স্টেট টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইউনিটের মহিলা কনসালটেন্ট বা উপদেষ্টার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল শহরের জিটি রোডের একটি হোটেলের রুম থেকে কনসালট্যান্টের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার বাঙ্গুরের লেকটাউন থানার কিরণ এ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা মৃত কনসালট্যান্টের নাম রমা বন্দোপাধ্যায় (৬১)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে কনসালট্যান্টের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। সকালে খবর পেয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন রমা বন্দোপাধ্যায়ের স্বামী ডাঃ নীলাদ্রি শংকর গাঙ্গুলি।


জানা গেছে, রমা বন্দোপাধ্যায় যক্ষ্মা রোগের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি সিটিডি বা সেন্ট্রাল টিবি ডিভিশনের স্টেট টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইউনিটের কনসালটেন্ট বা উপদেষ্টা হিসাবে রাজ্যের সঙ্গে কোঅরডিনেটের কাজ করতেন। এই কাজ তিনি সোসাইটি ফর প্রমোশন ইউথ এন্ড মাসেস” র হয়ে এই কাজ করতেন। রমা বন্দোপাধ্যায়ের কাজ ছিলো মুলতঃ রাজ্যের যেসব সরকারি হাসপাতালে যক্ষ্মার চিকিৎসা হয়, তার পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণ করা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় সাধন করে, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।


বুধবার তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে আসেন। আসানসোল শহরে জিটি রোডে একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে তিনি বুধবার ইসিএল, রেল ও ইস্কো হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেন জানান পশ্চিম বর্ধমানের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান। বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষ করে হোটেলের রুমে চলে আসেন। তার বৃহস্পতিবার সকালে চিত্তরঞ্জনে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগে এদিন সকাল দশটা নাগাদ তাকে হোটেলের রুমে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হোটেল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সকালেই রমাদেবীর স্বামী ডাঃ নীলাদ্রি শংকর গাঙ্গুলিকে বিষয়টি জানানো হলে, তিনি দুপুরের মধ্যে বাঙ্গুর থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চলে আসেন।তিনি বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে বুধবার রাত আটটা নাগাদ ফোনে কথা হয়েছিলো।

তখন স্ত্রী আমাকে বলেছিলো, তাকে মুম্বাই ও থানে যেতে বলছে। কি করবো? তখন আমি বলি, তুমি কলকাতায় এসো এই ব্যাপারে কথা বলবো। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী যক্ষা রোগের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এই নিয়ে তিনি কাজ করতেন। কিছু শারীরিক সমস্যা ছিলো। কিন্তু কি করে কি হয়ে গেলো বুঝতে পারছি না। জানা গেছে, রমা বন্দোপাধ্যায়ের এক মেয়ে আছেন। তিনি চাকরি সূত্রে ব্যাঙ্গালোরে আছেন। তাকে মায়ের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানায়, এদিন দুপুরে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়েছে। ভিসেরা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ কি।

Leave a Reply