সাউথ বিহার এক্সপ্রেসে আরপিএফের হানা, খাঁচা বন্দী ৮২ টি টিয়াপাখি উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ খাঁচা বন্দী ৮২ টি টিয়াপাখি উদ্ধার হলো পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ঝাড়খণ্ডের মধুপুর স্টেশনে সাউথ বিহার এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে। পাখিগুলো বেআইনি ভাবে নিয়ে গিয়ে পাচার করার আগেই আরপিএফের জওয়ানরা সেগুলো উদ্ধার করলেও, কে বা কারা কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলো তা জানতে পারেননি। তাই কা কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সোমবার ভোররাতে অন্য দিনের মতো পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ঝাড়খণ্ডের মধুপুর স্টেশনে আসানসোল গামী সাউথ বিহার এক্সপ্রেস এসে দাঁড়িয়েছে। সেই সময় আরপিএফের হেড কনস্টেবল আর পি সিং ও কনস্টেবল এ কে যাদব প্ল্যাটফর্মে এস ৪ কামরার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পাখির প্রচুর আওয়াজ শোনেন । সঙ্গে সঙ্গে তারা ঐ কামরার ভেতরে উঠেন। ঠিক যেখান থেকে পাখির ডাকের আওয়াজ হচ্ছিল তেমন একটি সিটের নিচে তারা দেখেন একটা খাঁচায় ৮২ টি টিয়াপাখি রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখানে থাকা যাত্রীদের কাছে জানতে চান এই খাঁচা কার? কিন্তু কারোর কাছ থেকে কোন উত্তর না পাওয়ায় খাঁচা সহ ঐ টিয়াপাখিগুলিকে তারা নামিয়ে নেন। এরপর আসানসোলে ডিভিশনের আরপিএফের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তারা কথা বলেন। তাদের নির্দেশ মত স্থানীয় বন দপ্তরের আধিকারিকদের স্টেশনে খবর দিয়ে ডেকে পাখিগুলিকে হস্তান্তর করা হয়।
রেলের তরফে আরপিএফ এই পাখি উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় একটি মামলাও করা হয় বলে জানান আসানসোল রেল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার রাহুল রাজ। তিনি বলেন, এর আগেও আসানসোলে যাত্রী ট্রেন থেকে এই রকমভাবে প্রচুর পরিমাণ টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছিলো। ঐ সব পাখি হয় উত্তর প্রদেশ বা বিহার থেকে আনা হচ্ছিল এইসব এলাকায় বিক্রি করার জন্য।