ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়ায় স্কুল পড়ুয়া খুন, নাবালক বন্ধুর ঠাঁই হোমে, সঙ্গীর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও জামুড়িয়া, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* আসানসোলের জামুড়িয়ার দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া আনন্দ কেশরীর খুনের ঘটনায় নাবালক বন্ধুর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ১৭ বছরের নাবালক বন্ধু ও তার সঙ্গী অভিষেক প্রসাদকে সোমবার আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক জামিন নাকচ করে নাবালক বন্ধুকে ১০ দিনের জুভেনাইল হোমে পাঠানো ও অভিষেককে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রথমে গ্রেফতার হওয়া সহপাঠী নাবালক বন্ধু ও পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিষেক জামুড়িয়া থানা মোড় সংলগ্ন জোড়া পুকুর এলাকা বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

file photo


প্রসঙ্গতঃ, রবিবার সকালে আসানসোলের জামুড়িয়া নন্ডী রাস্তার জোড়া পুকুর এলাকায় ফাঁকা মাঠ থেকে বোরিংডাঙ্গার বাসিন্দা আনন্দ কেশরীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো। শনিবার রাতে সে মা অনিতা কেশরীকে একটা কাজ আছে বলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো। রাতে সে বাড়ি না ফেরায় মা ও এলাকার বাসিন্দারা আনন্দের খোঁজ করছিলো। কিন্তু তাকে পায়নি। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরেই অনিতাদেবী জামুড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরই জামুড়িয়া থানার পুলিশ আনন্দের সহপাঠী নাবালক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছিলো। জেরায় সে পুলিশকে জানায়, নিজেদের গোপন কথা আনন্দ তার বাবাকে বলে দেবে বলেছিলো। সেই কারণে সে আনন্দকে খুন করেছিলো।

বিয়ারের বোতল দিয়ে সে আনন্দের মাথায় মারে। পরে ইট পাথর দিয়েও আঘাত করেছিলো সে। পুলিশ রবিবার সকালেই তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ” পুননির্মাণ বা রিকনস্ট্রাকশন ” করিয়েছিলো। প্রথম থেকেই বন্ধু দাবি করে আসছিলো যে, সে একাই আনন্দকে মেরেছে। কিন্তু আনন্দের মা বারবার বলে আসছিলেন, ছেলেকে ঐ বন্ধু একা মারেনি। এর পেছনে আরো কেউ বা কারা আছে। শেষ পর্যন্ত দফায় দফায় জেরায় নাবালক বন্ধু অভিষেকের কথা বলে। এরপরই পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করে।


পুলিশ জানতে পেরেছে শনিবার রাতে প্রথমে গ্রেফতার হওয়া দুজন প্রথমে মদ খায়। তারপর আনন্দকে মারে। অভিষেক জেরায় পুলিশকে বলেছে, সে আনন্দকে মারার কথা জানতো না। পরে সে জানে। তখন সে আনন্দকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু পুলিশ অভিষেকের এই সাফাই মানতে চায়নি।
পুলিশ রক্তমাখা জামা, ভাঙা বিয়ারের বোতল ও ইটপাথর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে বলে এক আধিকারিক এদিন জানিয়েছেন।

Leave a Reply