রানীগঞ্জের কুমোরবাজার কেবি লেন এলাকায় ১২৫ বছরের মনসা পূজো
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী , রানীগঞ্জ : মাটির নতুন হাড়িতে পুজোর জন্য রাখা, ফলমূল ও পুজোর সামগ্রী খোঁজ করতে গিয়ে দেখা মিলেছিল বিষধর কাল কেউটের আর তার পরে থেকেই নিয়ম মেনে হয়ে আছে ধীবর পরিবারের মনসা পূজো। এবার তাদের মনসা পূজো পড়েছে ১২৫ তম বর্ষে । এই ভাবেই রানীগঞ্জের কুমোর বাজার কেবি লেন এলাকায় ধীবর পরিবারের নন্দগোপাল ধীবর তার তিন ছেলে ঋষিকেশ, যুধিষ্ঠির ও হরিপদ ধীবর কে নিয়ে আজ থেকে প্রায় ১২৪ বছর আগে শুরু করে এই মনসা পূজো। পূর্বে এখানে মাটির মূর্তি গড়ে পুজো হয়ে থাকলেও বর্তমানে শিলা মূর্তিতে পুজো হয় মা মনসার।




এখানে পুজো প্রসঙ্গে জানা যায় একসময় লোকের বাড়িতে এই ধীবর পরিবারের সদস্যরা পুজো দিতে যেতেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় ১২৫ বছর আগে সে সময় পুজোর জন্য নতুন মাটির হাঁড়ির মধ্যে মা মনসার বিভিন্ন সাজ পোশাক, সামগ্রী ও ফল ফুল সহ নানা সামগ্রী রেখে বাইরে গেছিলেন নন্দগোপাল বাবু রাত্রে মা মনসার পুজো দিতে গিয়ে হাঁড়ি নিয়ে আসতেই দেখেন মাটির হাড়িতে রয়েছে এক কাল কেউটে সে কারোর কোন ক্ষতি না করেই হাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা জঙ্গলে মিলিয়ে যায়। এই বিষয় লক্ষ্য করেই সকলে আতকে ওঠে, মা মনসার অসীম অনুকম্পায় তারা রেহাই পেয়েছে এই বিষয়ে মেনে পরের বছর থেকেই শুরু হয় মনসা পূজো।
এখনো সেই পুজো স্বমহিমায় করে আসছে ধীবর পরিবারের সদস্যদের সাথেই এলাকার অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ। পুজোকে ঘিরে বিভিন্ন রীতির ওয়াজ পালনের সাথে হয় খিচুড়ি ভোজের আয়োজন রাণীগঞ্জের অসংখ্য পুজো গুলির মধ্যে এই কেবি লেনের পুজো এবার ১২৫ তম বর্ষে পড়ায় এই পূজোকে ঘিরে আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করা গেছে, বিগত বছর গুলির মত এবছরও অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ, মা মনসার পুজোর জন্য হাজির হয়েছেন মন্দির চত্বরে। চলছে মা মনসার ব্রত কথা ও পূজো পাঠ ।